প্রতীকী ছবি
বৃহস্পতিবার রাতে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল এলাকা। সংঘর্ষে আহত উভয়পক্ষের চারজন চিকিৎসাধীন হাসপাতালে। পটাশপুরের নিরঞ্জন মার্কেট এলাকায় ওই ঘটনায় পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, লোকসভা ভেটের পর থেকেই পটাশপুর-১ ব্লকের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূলের কয়েকটি পার্টি অফিস বন্ধ করে দেয় বিজেপি। কোথাও গায়ের জোরে তৃণমূলের পার্টি অফিস দখলেরও অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। গত ১ জানুয়ারি তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসে তৃণমূলের পটাশপুর-১ ব্লক সভাপতির নেতৃত্বে বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং বিজেপির দখল করে রাখা পার্টি অফিস পুনরুদ্ধার করে তৃণমূলের পতাকা তোলা হয়। গোপালপুর পঞ্চায়েতের নিরঞ্জন মার্কেটে বন্ধ হয়ে যাওয়া তৃণমূলের একটি পার্টি অফিস প্রতিষ্ঠা দিবসে খোলা হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে নিরঞ্জন মার্কেটে একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন স্থানীয় কয়েকজন তৃণমূল কর্মী। অভিযোগ এলাকার বেশকিছু বিজেপি কর্মী সমর্থক তাঁদের দেখে গালি গালাজ করে। দু’পক্ষে হাতাহাতি বেধে গেলেও প্রাথমিক ভাবে বিষয়টি মিটমাট হয়ে যায়।
তৃণমূলের অভিযোগ ঘটনার বেশ কিছুক্ষণ পরে বিজেপির বেশ কিছু কর্মী-সমর্থক এক তৃণমূল কর্মীকে লাঠি-বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। পাল্টা মারধর করে তৃণমূলও। ঘটনায় উভয়পক্ষের চারজন আহত হন। এঁদের মধ্যে তৃণমূলের দুই কর্মী এগরা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি। ঘটনায় বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী নামে থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে তৃণমূল। তবে শুক্রবার রাত পর্যন্ত ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে। পটাশপুর-১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি তাপস মাজি জানান, বিজেপি এলাকায় সন্ত্রাস ও দখলদারির রাজনীতি করে মানুষের কাছে টিকে থাকতে চাইছে। আগামী দিনে মানুষই তাদের প্রত্যাখান করে তৃণমূলের হাত শক্তিশালী করবে।’’
বিজেপি নেতা মোহনলাল শী বলেন, ‘‘তৃণমূলের কর্মীরা পার্টি অফিস থেকে লাঠি সোটা নিয়ে প্রথমে বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা করে। মহিলাদের মারধর করে। পাল্টা কর্মীরা প্রতিরোধ করে। ঘটনায় আমাদেরও দু’জন জখম হয়েছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy