কলেজের অনুষ্ঠানে ছাত্র সংসদের বিপুল খরচ নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই শেখ সানাউল্লাকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি) পরিচালিত ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদকের পদ সরিয়ে দিয়েছিলেন কলেজ-কর্তৃপক্ষ। এ বার টিএমসিপি-র কেশপুর কলেজ ইউনিটের খোলনলচে বদলানো হবে বলে সংগঠনের এক সূত্রে খবর।
টিএমসিপি-র এক সূত্রের দাবি, শীঘ্রই সংগঠনে রদবদল হবে। ইতিমধ্যে এ ব্যাপারে জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে রাজ্য নেতৃত্বের কথাও হয়েছে। অবশ্য এ নিয়ে টিএমসিপি-র পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভানেত্রী দেবলীনা নন্দীর বক্তব্য, “এটা সম্পূর্ণ সাংগঠনিক ব্যাপার। এ ব্যাপারে কিছু বলব না। এটুকু বলতে পারি, কিছু হলে সাংগঠনিকস্তরে আলোচনা করেই হবে।” টিএমসিপির এক জেলা নেতা অবশ্য মানছেন, “কেশপুর কলেজ ইউনিটে রদবদল আসন্ন। রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ মতোই জেলায় পদক্ষেপ করা হবে।”
এখন টিএমসিপি-র কেশপুর কলেজ ইউনিটের সভাপতি পদে রয়েছেন শেখ আবদুল্লা। আবদুল্লা বছর চারেক আগে কেশপুর কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সদ্য অপসারিত শেখ সানাউল্লা তাঁরই ভাই। রাজ্যে পালাবদলের আগে পর্যন্ত কেশপুর কলেজের প্রতিষ্ঠা দিবস উদ্যাপন হত কলেজ-কর্তৃপক্ষের উদ্যোগেই। পালাবদলের পরে ছবিটা বদলাতে শুরু করে। প্রতিষ্ঠা দিবস উদ্যাপনের রাশ নিতে শুরু করে টিএমসিপি-র ছাত্র সংসদ। গত ২৩ মার্চ কেশপুর কলেজের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল ছাত্র সংসদ। এক দিনের সেই অনুষ্ঠানে খরচ হয় ৩ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। অথচ গত বছর যখন কলেজ কর্তৃপক্ষ এই অনুষ্ঠান করেছিলেন, তখন খরচ হয়েছিল ১ লক্ষ ২৮ হাজার টাকা।
কলেজের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানে বিপুল খরচ নিয়ে শোরগোল পড়ায় কড়া বার্তা দিয়েছিলেন টিএমসিপি-র রাজ্য নেতৃত্ব। খোদ টিএমসিপি-র রাজ্য সভানেত্রী জয়া দত্ত জানিয়েছিলেন, বিলে যদি কোনও অসঙ্গতি থাকে, তাহলে সংগঠনের তরফে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে। পরিচালন সমিতির বৈঠকেও ঠিক হয়, এ বার থেকে সমিতিতে আলোচনা না করে কলেজে কোনও কর্মসূচি হবে না।
সপ্তাহ কয়েক আগে মেদিনীপুরে এসেও সংগঠনের কর্মীদের কড়া বার্তা শুনিয়েছিলেন জয়া দত্ত। বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, যারা সংগঠনের কথা না ভেবে ব্যক্তিস্বার্থের কথা ভাববে, সংগঠনে তাদের জায়গা হবে না। রাজ্য নেতৃত্বের বার্তা পেয়েই কি সংগঠনের কেশপুর কলেজ ইউনিটের খোলনলচে বদলানোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে? টিএমসিপির এক জেলা নেতা বলেন, “এই মুহুর্তে কিছু বলছি না। রদবদল বিভিন্ন সময়ে হয়। এটুকু বলতে পারি, যারা শৃঙ্খলা মেনে চলছে না, তারা যোগ্য সময়ে উত্তর পেয়ে যাবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy