খেলা হবে কর্মসূচিতে। মেদিনীপুর কালেক্টরেটে। নিজস্ব চিত্র।
খেলা হয়েছিল ভোটের ময়দানে। সেই খেলায় জনপ্রিয় স্লোগানকে কেন্দ্র করে ঘোষিত হয়েছিল কর্মসূচি। ‘খেলা হবে’ দিবস।
স্বাধীনতা দিবসের পরের দিন, সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম দুই জেলায় পালিত হল ‘খেলা হবে’ দিবস। বিলি হল ফুটবলও। জেলা যুবকল্যাণ দফতর সূত্রে খবর, পশ্চিম মেদিনীপুরে ৩,৭৮১টি ক্লাবকে ৭,৫৬২টি ফুটবল দেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ, প্রতিটি ক্লাব ২টি করে ফুটবল পাচ্ছে।
‘খেলা হবে’ দিবসের জেলাস্তরের অনুষ্ঠানটি হয়েছে মেদিনীপুরে, কালেক্টরেট চত্বরে। ছিলেন জেলাশাসক রশ্মি কমল, জেলা সহ- সভাধিপতি অজিত মাইতি প্রমুখ। ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসকেরাও। জেলাশাসক বলেন, ‘‘সমস্ত ব্লক, শহরেও দিনটি পালিত হয়েছে। অনেক ক্লাবকে ফুটবল দেওয়া হয়েছে।’’ জেলাশাসককেও ফুটবল বিলি করতে দেখা গিয়েছে। মাঠে নেমে ফুটবলে শটও মেরেছেন তিনি। মেদিনীপুর সদর, শালবনি, কেশপুরেও ‘খেলা হবে’ দিবস পালন হয়েছে। দিনটি পালন করেছে তৃণমূলও।
ঘাটালেও দিনটি পালন করা হয়। ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতি একাদশ বনাম ঘাটাল পুলিশ একাদশ খেলা হয়েছে। কুশমান মাঠে খেলায় উপস্থিত ছিলেন মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস ও মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অগ্নিশ্বর চৌধুরী। চন্দ্রকোনা শহরে জিরাট হাইস্কুল মাঠে ফুটবল বিলি হয়েছে। ছিলেন বিধায়ক অরূপ ধাড়া। চন্দ্রকোনার ভগবন্তপুর, কঙ্কাবতী, মহাবালায় তৃণমূলের উদ্যোগে খেলা হয়েছে। দাসপুরের সবুজ সঙ্ঘ মাঠে খেলায় হাজির ছিলেন জেলা সভাধিপতি অজিত মাইতি, বিধায়ক মমতা ভুঁইয়া প্রমুখ।
গড়বেতা হাইস্কুল মাঠে হয় প্রীতি ফুটবল ম্যাচ। ছিলেন বিধায়ক উত্তরা সিংহ হাজরা। গোয়ালতোড় হাইস্কুল মাঠে স্থানীয় দুটি মহিলা দলকে নিয়ে প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করে গড়বেতা ২ ব্লক প্রশাসন। এখানে ২৬৭ টি ক্লাবকে ফুটবল দেওয়া হয়। চন্দ্রকোনা রোডে ১৫৬ টি ক্লাবকে ফুটবল দেয় গড়বেতা ৩ ব্লক প্রশাসন। এখানেও প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা হয়। তিনটি ব্লকেই তৃণমূলের উদ্যোগেও ' ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এ দিন খড়্গপুর পুরসভার পক্ষ থেকে টাউন থানা সংলগ্ন ময়দানে ইন্ডিয়ান নেভি ও খড়্গপুর একাদশের ফুটবল খেলা হয়। ছিলেন ডিআইজি শ্যাম সিংহ, পুরপ্রশাসক প্রদীপ সরকার, বিদায়ী উপ-পুরপ্রধান শেখ হানিফ প্রমুখ। ওই কর্মসূচির সূচনায় পুরসভার পক্ষ থেকে দাঁতন ও খড়্গপুরের মহিলা ফুটবল দলকে নিয়ে এক প্রদর্শনী খেলার আয়োজন হয়েছিল। সাউথসাইড হাইস্কুলের মাঠে ‘খেলা হবে’ দিবস কর্মসূচির আয়োজন করেছিলেন তৃণমূল নেতা দেবাশিস চৌধুরী। সবং ব্লকে দেভোগের জুলকাপুর কর্মসূচির উদ্বোধন করেন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। নারায়ণগড়ের খালিনায় ছিল প্রীতি ফুটবল ম্যাচ।
ঝাড়গ্রাম শহর ও বিভিন্ন ব্লকে খেলা হবে দিবস পালিত হয়েছে। ঝাড়গ্রাম পুরসভার উদ্যোগে এদিন বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা হয়। পুরসভার উদ্যোগে ইয়ুথ ক্লাব মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ছিলেন জেলা সভাধিপতি মাধবী বিশ্বাস, জেলাশাসক জয়সি দাশগুপ্ত, জেলা পুলিশ সুপার বিশ্বজিৎ ঘোষ, পুর প্রশাসক প্রশান্ত রায়, প্রাক্তন পুরপ্রধান দুর্গেশ মল্লদেব প্রমুখ। তৃণমূলের হিন্দিভাষী সেলের উদ্যোগে হস্টেল মাঠে খেলা হবে দিবস উদযাপনের দায়িত্বে ছিলেন শহর তৃণমূলের সহসভাপতি গোবিন্দ সোমানি। জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর অজিত মাহাতোর উদ্যোগে ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়ামে প্রদর্শনী ফুটবল খেলা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy