—প্রতীকী চিত্র।
বোর্ড গঠনের আগে সিপিএমের পঞ্চায়েত প্রধান পদপ্রার্থীকে যে বেআইনি ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছিল তা স্পষ্ট করে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। পূর্ব মেদিনীপুরের শীতলপুর পশ্চিম পঞ্চায়েতের ওই মামলায় বুধবার বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের নির্দেশ, সিপিএমের আব্দুল জব্বারকে অন্যায় ভাবে গ্রেফতার করে প্রধান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় বাধা দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তী কালে পুনরায় বোর্ড গঠনে তিনি প্রধান হয়েছেন। তাই তাঁকেই প্রধান হিসেবে ঘোষণা করতে হবে।
এর আগে বিচারপতি অমৃতা সিংহ আব্দুলের গ্রেফতারকে বেআইনি বলেছিলেন এবং পুনরায় বোর্ড গঠন করতে বলেছিলেন। তার বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে আর্জি জানিয়েছিল রাজ্য। এ দিন হাই কোর্টের নির্দেশের পরে শীতলপুর পশ্চিম গ্রাম পঞ্চায়েতের নব নির্বাচিত প্রধান আব্দুল জব্বার বলেন, ‘‘এলাকার মানুষ আমাদের পক্ষেই ছিলেন। কিন্তু রাজ্যের শাসকদল ও পুলিশ-প্রশাসন অন্যায়ভাবে আমার উপর অত্যাচার করে জনগণের রায়কে অমান্য করার চেষ্টা করেছিল। আদালতের রায়ে আমাদের নৈতিক জয় হয়েছে।’’
আব্দুলের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং ফিরদৌস শামিমের অভিযোগ ছিল, ওই প্রধান পদ ওবিসি সংরক্ষিত। তাই বোর্ড গঠনে সিপিএম প্রার্থীকে সরিয়ে দিতে পারলে বিরোধীদের অন্য কোনও ওবিসি প্রার্থী থাকবে না। সেই সুযোগে তৃণমূল প্রার্থীকে প্রধান পদে বসানো যাবে। তাই বোর্ড গঠনের ভোটাভুটি শুরুর আগে আব্দুলকে গ্রেফতার করেছিল নন্দকুমার থানা। যদিও রাজ্য সরকারের কৌঁসুলির দাবি, আব্দুলের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ছিল। পুলিশ তাঁকে খুঁজছিল। গ্রেফতারের দিনও আব্দুল পুলিশকে মারধর করে এবং গাড়ি ভাঙচুর করেছিলেন। এ ব্যাপারে তদন্তকারী অফিসারকে তলব করেছিল ডিভিশন বেঞ্চ এবং রিপোর্ট দেখতে চেয়েছিল।
এ দিন সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পরে ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, প্রশাসনের সঙ্গে রাজনীতির একাংশের দুষ্ট যোগাযোগ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে নষ্ট করেছে। প্রয়োজনে বোর্ড গঠনের ভোটাভুটি শেষ হওয়ার পরেও আব্দুল জব্বারকে গ্রেফতার করতে পারত পুলিশ। কিন্তু তা করেনি। এই পরিস্থিতিতে বিডিও বোর্ড গঠনের ভোটাভুটি বজায় রেখে উচিত কাজ করেছেন কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন করেছেন বিচারপতি বাগচী। তাঁর মন্তব্য, ‘‘এ ভাবে ঘোড়া কেনাবেচা চলতে দেওয়া যায় না।’’ কেস ডায়েরি দেখে ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, জামিনঅযোগ্য অপরাধের মতো কোনও প্রমাণ দেখা যাচ্ছে না। ক্ষমতা থাকলেই যে মর্জিমাফিক গ্রেফতার করা যায় না, সে কথাও মনে করিয়ে দিয়েছে কোর্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy