সেতুর দাবিতে সবংয়ে সেচ দফতরের কার্যালয়ের সামনে এলাকাবাসীর লাগাতার অবস্থান-বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছিলই। এ বার তাতে যুক্ত হল অনশনও। বুধবার থেকে এই বিক্ষোভের জেরে টানা ৪৮ ঘন্টা ঘেরাও হয়ে ছিলেন সেচ দফতরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার-সহ দফতরের ৯ জন আধিকারিক ও কর্মী। বৃহস্পতিবার সন্ধে থেকে শুরু হয়েছে অনশন। এক আন্দোলনকারী অসুস্থও হয়ে পড়েছেন। সমস্যা সমাধানে শুক্রবার খড়্গপুরের মহকুমাশাসক সঞ্জয় ভট্টাচার্য সবং-এ সর্বদল বৈঠক ডেকেছিলেন। কিন্তু নির্বাচন ঘোষণা হয়ে যাওয়ায় বৈঠকটি বাতিল করা হয়।
সবং ব্লকের নারায়ণবাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের অমরবাড় মৌজার বাসিন্দারা এই বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন। আন্দোলনকারীদের দাবি, অমরবাড়ে স্থানীয় আমড়াখালি খালের উপর একটি কংক্রিটের সেতু তৈরির জন্য সরকারিস্তরে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। টাকাও বরাদ্দ হয়। বাসিন্দাদের আরও দাবি, কাজটি শুরু করার জন্য টেন্ডার ডেকে এক ঠিকাদারকে বরাত দেওয়া হয়। ওয়ার্ক অর্ডারে অমরবাড় মৌজার উল্লেখ রয়েছে। অথচ সেচ দফতর এখন পাশের গ্রাম দক্ষিণ বাঁশবনি মৌজায় ওই সেতুর কাজ শুরু করতে চলায় বেজায় চটেছেন অমরাড়ের বাসিন্দারা। তার জেরেই বুধবার থেকে লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভ চলছে।
সেচ দফতরের অবশ্য দাবি, কাজের নকশা হয়েছিল দক্ষিণ বাঁশবনির জন্য। কিন্তু ভুলবশত ওয়ার্ক অর্ডারে অমরবাড়ের নাম ছাপা হয়ে গিয়েছিল। সেচ দফতরের কেলেঘাই-কপালেশ্বরী প্রকল্পের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার শুভাশিস পাত্র বলেন, ‘‘আমাদের আর কিছু করার নেই। পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে, তাতে আমাদেরও অনশন ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’’ মহকুমাশাসক সঞ্জয় ভট্টাচার্য জানান, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy