বাঁ দিকে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে দুষ্কৃতীদের দাপাদাপি। ডান দিকে উদ্ধার বোমা। নিজস্ব চিত্র
পুলিশকে নিশানা করে একের পর বোমা ছুড়ল দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনা ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না থানার বাকচায়। পুলিশের দাবি, শুক্রবার দুই অপরাধীকে পাকড়াও করতে গেলে তাঁদের লক্ষ করে বোমা ছোড়া হয়। এই ঘটনায় দুই পুলিশ কর্মী জখম হন। পরে অভিযানে নেমে বাকচা থেকে ২০০টির বেশি তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপি-র মধ্যে রাজনৈতিক চাপানউতর শুরু হয়েছে।
দুষ্কৃতীদের দাপাদাপির একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। ওই ভিডিয়োটি বাকচা এলাকার বলে দাবি করা হয়েছে। যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। তাতে দেখা গিয়েছে, বোমা এবং বন্দুক হাতে দুষ্কৃতীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। সেই সঙ্গে দুষ্কৃতীদের হাতে প্লাস্টিকের জার এবং ব্যাগও রয়েছে। যাতে বোমা রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
বিজেপি-র তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি আশিস মণ্ডল বলেন, ‘‘শুক্রবার গোড়ামাহাল গ্রামের তৃণমূল নেতা সাহেব মণ্ডলের বাড়ির পিছনে প্রচুর বোমা মজুত অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয়েরা। পুলিশ বোমা উদ্ধারের পরেও তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার না করে বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি চালায়। লাঠি উঁচিয়ে প্রতিবাদী গ্রামবাসীদের তাড়া করে। পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে এ ভাবে অপকর্ম চালাচ্ছে তৃণমূল।’’
বিজেপি তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের ময়না ব্লকের সভাপতি অভিজিৎ আদক বলেন, ‘‘বোমা রাখার ঘটনায় কোনও ভাবেই তৃণমূল যুক্ত নয়। উল্টে বিজেপি কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ব্যাপক বোমাবাজি করেছে। এ ছাড়াও এলাকায় অশান্তি ছড়ানোর জন্য মুড়ি মুড়কির মতো বোমা ছুড়েছে।’’
ময়না থানার এক আধিকারিকের দাবি, ‘‘এ দিন গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকা দুই বিজেপি কর্মীকে পাকড়াও করতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমাবাজি করা হয়। দু’জন পুলিশ কর্মী গুরুতর জখম হয়েছেন। তল্লাশি চালিয়ে দু'শোর বেশি বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। গোটা এলাকা চিরুনি তল্লাশি শুরু করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy