দিব্যেন্দু অধিকারী। — ফাইল চিত্র
বৃহস্পতিবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দায়ের করা মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছিল, কাঁথির শান্তিকুঞ্জের উপর অযথা নজরদারি চালানো যাবে না। অথচ শুক্রবারই শান্তিকুঞ্জের উপর নজরদারি চালাতে ড্রোন ওড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন অধিকারী পরিবারের সেজ ছেলে তথা তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। খাতায় কলমে দিব্যেন্দু এবং তাঁর বাবা তথা কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী এখনও তৃণমূলেই রয়েছেন।
শুক্রবার দিব্যেন্দু দাবি করেন, ‘‘আজ সকালে আমি বারান্দায় বসে ছিলাম। বাড়ির ভিতরে মেয়ে পড়ছিল। হঠাৎ নজরে এল একটি ড্রোন আমার বাড়ির চৌহদ্দির ভেতরে ওড়ানো হচ্ছে। খোঁজ নিলাম, কিছু লোক যাদের পরিচয়পত্র নেই, সাধারণ পোশাকে বাড়ির বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে।’’ দিব্যেন্দু অবশ্য বলছেন, ‘‘এই ধরনের নিম্নরুচির পরিচয় কারা দিচ্ছে জানা নেই।’’ সেই সঙ্গে তিনি এও যোগ করেছেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার নেত্রী। আমার সংসদীয় দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল।’’
দিব্যেন্দু আরও দাবি, পুলিশ তাঁর অভিযোগ নেয় না। তিনি বলেন, ‘‘আমার বাবার বয়স ৮৪। মায়ের বয়স ৭৯। মেয়ের মাত্র ৯ বছর বয়স। একটা পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা চলছে ওখানে।’’ শুভেন্দুর পাশে দাঁড়িয়ে দিব্যেন্দুর বক্তব্য, ‘‘আমার দাদা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি পরিবারের কথা ভেবে আগেও আদালতে গিয়েছেন। আবার চাইলে যেতে পারেন। সকলের সেই স্বাধীনতা আছে।’’
বিষয়টি নিয়ে দল এবং লোকসভার স্পিকারকে অধ্যক্ষ অভিযোগ জানাবেন বলেছেন দিব্যেন্দু। প্রসঙ্গত, এর আগে শান্তিকুঞ্জের দিকে তাক করে একাধিক সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে বলে কলকাতা হাইকোর্টে অভিযোগ করেন শুভেন্দু। রাতভর শান্তিকুঞ্জের সামনে তারস্বরে মাইক বাজানোরও অভিযোগ তোলেন তিনি। বৃহস্পতিবারই সেই মামলার রায়ে আদালত শান্তিকুঞ্জের কাছে রাত আটটার পর মাইক বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। এ ছাড়া সিসি ক্যামেরার নজরদারির বিষয়টিও বন্ধ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার পরের দিনই নয়া অভিযোগ তুললেন দিব্যেন্দু। এ নিয়ে অবশ্য জেলা পুলিশ এবং প্রশাসনের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy