ঘাটালে এল বিজেপির পরিবর্তন যাত্রা। নিজস্ব চিত্র ।
বিধানসভা ভোটের আগে ‘খেলা হবে’ স্লোগান তুলেছে তৃণমূল- শিবির। রবিবার কেশপুরে এসে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও বললেন, ‘‘খেলা নিশ্চয়ই হবে। জনগণের খেলা হবে। অনেক খেলেছে ওরা (তৃণমূল)। ক্লান্ত হয়ে গিয়েছে। ওরা গ্যালারিতে বসুক। খেলাটা আমরা খেলব।’’ তিনি জুড়েছেন, ‘‘এখানকার মানুষ অনেক খেলা দেখেছে। এ বার মানুষ খেলবে।’’
এ দিন কেশপুর হয়ে বিজেপির ‘পরিবর্তন যাত্রা’ পৌঁছয় দাসপুর, ঘাটালে। কেশপুরের পাঁচখুরির সভায় ফের প্রকৃত পরিবর্তনের বার্তা দেন দিলীপ। বলেন, ‘‘কেবল রাজনৈতিক পরিবর্তন নয়। রাস্তাঘাটের পরিবর্তন হবে। জল আসবে, বিদ্যুৎ আসবে, ড্রেন হবে। মানুষের হাতে কাজ আসবে। চিকিৎসা, শিক্ষা, প্রশাসনে পরিবর্তন হবে। তাই গ্রামে গ্রামে গিয়ে আমরা বলছি, আসুন, আরেকবার পরিবর্তন করি।’’ ঘাটাল থেকে ‘রথ’ যায় ডেবরায়। তার আগে বিকেলে ঘাটাল বিবেকানন্দ মোড়ে পথসভাতেও দিলীপ বলেন, “খেলা হবে। সেই মাঠে খেলবে বিজেপি।তৃণমূলের দিদি ও ভাইয়েরা দশর্কাশনে বসে বসে দেখবে।” সঙ্গে তাঁর দাবি, “এ বার বদল হবে। বদলাও হবে।”
প্রথমে ঘাটালে বড় জনসভা করার কথা ছিল বিজেপির। পরে অবশ্য সিদ্ধান্ত বদলায়। এ দিন বিকেলে ঘাটাল শহরের ময়রাপুকুর মোড়ে পথসভা হয়েছে। নানা মহলে গুঞ্জন, পরিবর্তন যাত্রায় লোক হচ্ছে না দেখেই বড় সভার ধুঁকি নেয়নি গেরুয়া শিবির। বিজেপির অবশ্য দাবি, ঘাটালে মাঠ পাওয়া যায়নি। ঘাটালের সভা থেকে তৃণমূল ও পুলিশকে হুঁশিয়ারিও দেন দিলীপ। বলেন, “উন্নয়নের নাম করে দিদির ভাইয়েরা পাড়ায় পাড়ায় আসছে। কেউ এলে নারকেল গাছে বেঁধে রাখুন। দিদি এসে ছাড়িয়ে নিয়ে যাবেন। থানার পুলিশ এলে তাকেও বেঁধে রাখবেন।”
এ দিন সকাল ন’টায় চন্দ্রকোনা থেকে পরিবর্তন যাত্রা শুরু হয়। চন্দ্রকোনা বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া বিজেপির দক্ষিণ মণ্ডলের অফিসের সামনে থেকে ‘রথ’ যায় কেশপুর-আনন্দপুর। দুপুরে কেশপুর থেকে নাড়াজোলে যায় ‘রথ’। সকাল থেকেই দলীয় কর্মীরা ছোট ছোট গাড়ি ফুল দিয়ে সাজিয়ে রাস্তার ধারে অপেক্ষা করছিলেন। নাড়াজোলে ঢুকতেই বাইক মিছিল এগিয়ে আসে। রাজনগরে গাড়ি থামিয়ে রাজ্য ও জেলা নেতৃত্বকে স্বাগত জানান কর্মীরা। ঘাটালেও প্রচুর ছোট গাড়ি ছিল।
শনিবার গড়বেতায় বিজেপির সভা ফেরত কর্মী-সমর্থকেদের উপর হামলার অভিযোগ ওঠে। সে প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূলকে এ দিন নিশানা করেন দিলীপ। বলেন, ‘‘গড়বেতার সভা থেকে যখন কর্মীরা বাড়ি ফিরছিলেন, তখন তাঁদের উপর আক্রমণ করা হয়েছে রাতের অন্ধকারে। হিম্মত থাকে তো দিনের বেলায় সামনে এস। আজ আসার সময়ে দেখলাম কেশপুর, মুগবসানে তৃণমূলের লোকেরা বাইক নিয়ে, ঝান্ডা নিয়ে খুব ঘোরাঘুরি করছে। বেশি বদমাইশি করলে, কেশপুরকে তোমাদের শেষপুর করব। মনে রাখবে, মানুষ প্রতিবাদ করতে শিখেছে।’’ কেশপুর যে ক্ষুদিরামের জন্মস্থান, তা মনে করিয়ে দিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘‘কেশপুরের মাটি পবিত্র মাটি। বিপ্লবীর মাটি। চাল চোর, ত্রিপল চোরদের মাটি নয়। পরিবর্তন কেশপুর থেকেই হবে।’’
তৃণমূলের নয়া জনসংযোগ কর্মসূচি ‘দিদির দূতকে’ কটাক্ষ করে দিলীপ বলেন, ‘‘গতকাল থেকে আবার শুরু হয়েছে দূত। আমি বলছি, জয় শ্রীরামে পালিয়ে গেল সব ভূত। এ বার পাড়ায় পাড়ায় যমের দূত!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy