মেদিনীপুরে সায়ন্তন। নিজস্ব চিত্র
মনীষী স্মরণের প্রশ্নে বরাবরই অন্য দলের চেয়ে কয়েক যোজন এগিয়ে থাকে তৃণমূল। বিদ্যাসাগর স্মরণের ক্ষেত্রেও তার অন্যথা হয়নি। কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও মনীষী স্মরণে এ বার আসরে নামছে বিজেপিও। একই সঙ্গে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এবং মোহনদাস কর্মচন্দ্র গাঁধীর জন্মবার্ষিকী পালন করতে চলেছে গেরুয়া শিবির।
জন্ম দ্বিশতবর্ষে বিদ্যাসাগরকে স্মরণ করতে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের বীরসিংহে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বীরসিংহে তিনি একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন, শিলান্যাস করেছিলেন। তৃণমূল সরকারের উদ্যোগে এক সপ্তাহ ধরে নানা কর্মসূচি হয়। দলীয় স্তরেও স্মরণ করা হয়েছিল বিদ্যাসাগরকে। সে সময় সে ভাবে দেখা যায়নি বিজেপিকে। তবে মোহনদাস কর্মচন্দ্র গাঁধীর দেড়শোতম জন্মবার্ষিকী পালনে আয়োজনের ত্রুটি রাখতে চাইছে না তারা। এ রাজ্যেও নানা কর্মসূচি রয়েছে গেরুয়া শিবিরের। আগামী ১৬ অক্টোবর মেদিনীপুরে এই কর্মসূচির সূচনা করবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ। প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে শুক্রবার মেদিনীপুরে একটি বৈঠক হয়েছে। উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু।
বিজেপি বিদ্যাসাগর জন্ম দ্বিশতবর্ষও পালন করবে। শতবর্ষে সাধারণত বছর জুড়েই স্মরণ করা হয় মনীষীদের। প্রশ্ন উঠছে কেন পৃথক ভাবে বিদ্যাসাগরের জন্মের দ্বিশতবর্ষ পালনে সে ভাবে সক্রিয় হল না গেরুয়া শিবির? তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, ‘‘মানুষ দূরে সরে যাচ্ছে। তাই ওরা বিদ্যাসাগর, গাঁধীজি স্মরণ করতে যাচ্ছে। ’’ বিজেপির জেলা সভাপতি শমিত দাশ বলেন, ‘‘দলের নির্দেশ মেনেই গাঁধীজি, বিদ্যাসাগর স্মরণে কার্যক্রম করব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy