খড়্গপুরে দিলীপ ঘোষ। নিজস্ব চিত্র
সন্ত্রাসের আশঙ্কা নিয়েই রেলশহরের পুরবোর্ড দখলের ডাক দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। একইসঙ্গে জানিয়ে দিলেন, পুরনো-নতুন সবাইকে নিয়ে কাজ করতে হবে।
শনিবার খড়্গপুরের রামমন্দিরে পুরভোটের প্রস্তুতি বৈঠকে বসেছিল বিজেপি। সেখানেই এসেছিলেন মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ। এবার খড়্গপুরে এই প্রথম পুরভোট সংক্রান্ত কোনও বৈঠকে যোগ দিলেন তিনি। সেখানে পুরভোটে জিততে পুরনো নেতাদের গুরুত্ব দিতে ও তৃণমূলের বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বলা হয়েছে বলে বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে।
ওই সূত্র জানাচ্ছে, এদিন রুদ্ধদ্বার বৈঠকে রাজ্য সভাপতি জানিয়ে দিয়েছেন যে খড়্গপুরের পুরবোর্ড দখল এবার তাঁর পাখির চোখ। তার জন্য প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে ৫০ শতাংশ ভোট পেতে হবে। একই সঙ্গে তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, গত কয়েকটি ভোটে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছিল। লোকসভা ভোটে সেই সন্ত্রাস আটকেই বিজেপি জিতেছিল। এবারেও জিতবে। একইসঙ্গে এবারের পুরভোট নিরপেক্ষ হবে বলেও আশা করেছেন দিলীপ। বৈঠক শেষে তিনি বলেন, “দলের শক্তিকেন্দ্র ও বুথস্তরে কিছু পরিবর্তন হবে। পুরনো-নতুন সকলেই থাকবে। যাঁরা সক্রিয় থাকবে তাঁরা দলের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করবে। লড়াই জোরদার হবে।”
পুরভোটের জন্য ইতিমধ্যেই বুথ কমিটি তৈরি করা ফেলেছে বিজেপি। এবার ওয়ার্ড পিছু ১৫ জনের কমিটি তৈরি হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডে থাকবে দলীয় পর্যবেক্ষক। তাঁরা মূলত এলাকায় ঘুরে প্রার্থী বাছাই করবেন। পদ্ম শিবির সূত্রে খবর, এবার দলের নেতা ছাড়াও বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকেও পুরভোটে প্রার্থী করা হতে পারে বলে এদিন ইঙ্গিত দিয়েছেন দিলীপ। এদিনের বৈঠকে ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি শমিত দাশ। তিনি বলেন, “আগামী সাতদিনের মধ্যে প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিটি তৈরি করে ফেলতে বলা হয়েছে। ৩৫টি ওয়ার্ডের জন্যই বাছাই করা পর্যবেক্ষক নেওয়া হয়েছে। তাঁরা আগামী ৩ মার্চ থেকে ঘুরে ঘুরে সমীক্ষা চালাবেন।”
জেলা বিজেপির এক নেতা জানান, প্রার্থী বাছাইয়ের আগে দলত্যাগী কাউন্সিলরদের দলে ফেরাতে দরজা খোলা রাখা হচ্ছে। এদিনের বৈঠকে পুরসভা নির্বাচনের জন্য একটি সঞ্চালন কমিটি তৈরি হয়েছে। রাজ্যের জোনাল আহ্বায়ক তুষার মুখোপাধ্যায়কে তার আহ্বায়ক হিসাবে রেখে ৯ জনের কমিটি গড়া হয়েছে। ওই কমিটিই শহরের নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় পরিকল্পনা করবে। তুষার বলেন, “যে কাউন্সিলরেরা দল ছেড়ে চলে গিয়েছিল তাঁরা যদি ফিরে আসেন সেক্ষেত্রে তাঁদের প্রার্থী করার বিষয়ে ভাবা হবে। কিন্তু নির্বাচন ঘোষণার আগে তাঁদের দলে যোগ দিতে হবে।”
গত বিধানসভা উপ-নির্বাচনে শহরের ৩৫টি ওয়ার্ডের জন্য ৫৪ জন পর্যবেক্ষক নিযুক্ত করেছিল তৃণমূল। তাতে সাফল্যও মিলেছিল। এবার সেই পদ্ধতিতেই বিজেপিও কিস্তিমাত করতে চাইছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা।
এ দিন বিকেলে দিলীপ যান গোপালীতে। সেখানে আইআইটির ‘অন্ত্রেপ্রেনিওর পার্কে’ মাশরুম চাষের এক প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দেন। পরে দেখা করেন খড়্গপুরের ডিআরএমের সঙ্গে। শহরের রেলের বাজারের পরিকাঠামোগত সমস্যা নিয়ে কথা বলেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy