—প্রতীকী চিত্র।
সরকারি ভাবে আশ্রয় শিবির খোলা হচ্ছে। প্রস্তুত রাখা হচ্ছে ‘ফ্লাড সেন্টার’ এবং আয়লা কেন্দ্রগুলি। ঘূর্ণিঝড় ‘ডেনা’র সঙ্গে যুঝতে সব রকম প্রশাসনিক পদক্ষেপ করা হচ্ছে। সরকারি ওই প্রস্তুতির পাশাপাশি জনতার পাশে থাকতে আসরে নামছে বিজেপিও। নন্দীগ্রামে গিয়ে বুধবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানান, বিজেপি’র তরফেও বিকল্প আশ্রয় শিবির করা হচ্ছে। দলীয় সূত্রের খবর, নিজের বিধানসভা এলাকার নদী তীরবর্তী বাসিন্দাদের সরিয়ে বিজেপির আশ্রয় শিবিরে নিয়ে যাওয়ার তিনি পরামর্শ দিয়েছেন।
বুধবার বিকেলে নন্দীগ্রাম-১ ব্লকে আসেন স্থানীয় বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু। নন্দীগ্রামে পঞ্চায়েত সমিতির অফিসে দলীয় জন প্রতিনিধি এবং নেতৃত্বে সঙ্গে বৈঠক করেন। ছিলেন নন্দীগ্রাম-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শ্যামল সাহু এবং তমলুক সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক মেঘনাদ পাল। তাঁরা জানান, বিরোধী দলনেতা বিজেপির আশ্রয় শিবিরে বাসিন্দাদের নিয়ে যেতে বলেছেন। আর শুভেন্দু নিজে বলছেন, ‘‘ওড়িশা সরকার যেমন ব্যবস্থা করেছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার নদী উপকূলবর্তী এলাকায় সে রকম কোনও ব্যবস্থা করতে পারেনি। রাজ্য সরকার কোনও টাকা দেয়নি সেই কাজের জন্য।’’
বিজেপির জেলা (তমলুক) সম্পাদক মেঘনাদও বলেন, ‘‘প্রশাসনের তরফে গ্রাম পঞ্চায়েতকে বলে দেওয়া হচ্ছে সমস্ত রকম ব্যবস্থা করতে। কিন্তু প্রশাসন আর্থিক সাহায্য করছে না। তাই বিজেপির তরফে দলীয়ভাবে আশ্রয় শিবির খোলা হয়েছে। বিধায়কের আর্থিক সহযোগিতায় ওই শিবিরে এলাকাবাসীকে খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।’’ বিজেপি সূত্রের খবর, দলের তরফে সোনাচূড়া শহিদ মিনার, কালীচরণপুরে একটি স্কুলে এবং ভেকুটিয়ার কমিউনিটি হলে আশ্রয় শিবির খোলা হয়েছে।
নন্দীগ্রাম-১ এর বিডিও সৌমেন বণিক অবশ্য বলছেন, ‘‘পঞ্চায়েত প্রধানদের বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য যে খরচ হবে, তা দিয়ে দেওয়া হবে। এটা জানিয়েও দেওয়া হয়েছে।’’ নন্দীগ্রাম-২ এর বিডিও সুপ্রতিম আচার্যেরও বক্তব্য, ‘‘পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং পঞ্চায়েত প্রধানদের নিয়ে বৈঠক করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বিপর্যয় মোকাবিলা করতে ব্লক প্রশাসন সদা প্রস্তুত।’’
প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়ে গেরুয়া শিবির রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের।তৃণমূলের জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ শেখ সামসুল ইসলামের কথায়, ‘‘বিধায়ক একটাই কাজ করতে পারেন। সেটা হল মিথ্যাচার। ব্লক প্রশাসনের তরফে সমস্ত পঞ্চায়েত প্রধানদের বলে দেওয়া হয়েছে— ঝড়ের জন্য যে খরচ হবে, তা প্রশাসনের তরফে মিটিয়ে দেওয়া হবে। এটা নিয়ে গেরুয়া শিবির রাজনীতি করছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy