প্রতীকী ছবি।
দলীয় পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে বচসার সময় এক মহিলা তৃণমূল কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। রবিবার পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের গড়চক্রবেড়িয়ায় ঘটনাটি ঘটেছে। বিজেপি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, পারিবারিক বিবাদ থেকে ওই ঘটনা ঘটেছে।
পঞ্চায়েত ভোট এগিয়ে আসতেই উত্তাপ বাড়তে শুরু করেছে নন্দীগ্রামের। প্রায় রোজই সংঘর্ষে জড়াচ্ছে শাসক-বিরোধী শিবির। রবিবারও সেখানে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তৃণমূলের দাবি, পতাকা লাগাতে বাধা দেওয়া তাদের এক মহিলা কর্মীকে বেধড়ক মারধর করেছেন বিজেপি সমর্থকেরা। জখম ওই মহিলা কর্মীকে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেও তাঁর স্বামীকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। মহিলার স্বামী শিবশঙ্কর রথ বলেন, ‘‘গড়চক্রবেড়িয়ার বঙ্কিম মোড়ে আমার দোকান আছে। সেখানেই দলীয় পতাকা লাগাতে আসে বিজেপি সমর্থকেরা। কিন্তু আমার স্ত্রী তাদের পতাকা লাগাতে বাধা দেয়। এর পরেই স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করে বিজেপির লোকজন। স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে আমাকেও মেরেছে!’’
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে নন্দীগ্রাম ১ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ বলেন, ‘‘আমাদের দিকে ইট ছোড়া হলে আমরা তার জবাব পাটকেল দিয়ে দেব। তবে মারামারি করে নয়, ব্যালটেই আমরা ওদের উপযুক্ত জবাব দেব। নন্দীগ্রামে সমস্ত পঞ্চায়েতে তৃণমূল একচেটিয়া ভবেই জিতবে। বিজেপির আস্ফালন কোনও কাজে দেবে না।’’
সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি প্রলয় পাল। তিনি বলেন, ‘‘সম্পূর্ণ পারিবারিক বিবাদে ঝামেলা হয়েছে বলে শুনেছি। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। ভোটের মুখে বলেই এই ঘটনায় রাজনীতির রং লাগানোর চেষ্টা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy