আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর বিদ্যাসাগরের জন্মের দু’শো বছরের অনুষ্ঠানে বিদ্যাসাগরের গ্রাম বীরসিংহ গ্রামে আসার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। তার আগে বীরসিংহের ক্ষোভের আঁচ পেয়ে সেখানে তৎপরতা বাড়িয়েছে জেলা প্রশাসন। দু’দিন আগেই সেখানে ঘুরে গিয়েছেন মহকুমা শাসক। আজ, বৃহস্পতিবার বীরসিংহে আসার কথা জেলাশাসক রশ্মি কমল ও পুলিশ সুপার দীনেশ কুমারের।
জেলাশাসক রশ্মি কমল বলেন, “আমি আগেও বীরসিংহ গ্রামে গিয়েছিলাম। আবার যাব। মানুষের সঙ্গে কথা বলব। অভাব-অভিযোগ শুনব। সমস্যার সমাধানও করা হবে।”
জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় বীরসিংহ গ্রামে যাবেন জেলাশাসক রশ্মি কমল। সেখানে গ্রামবাসীদের সমস্যা শোনার জন্য প্রতিবিধান শিবিরে উপস্থিত থাকবেন তিনি। থাকার কথা পুলিশ সুপারেরও। শিবিরটি হবে বীরসিংহ ভগবতী হাইস্কুলে। বৃহস্পতিবার ওই স্কুলে শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরেই শিবিরের কাজ শুরু হবে। বুধবার সকাল থেকেই ঘাটাল ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার প্রস্তুতি চলেছে। জেলাশাসকের আসার কথা গ্রামবাসীদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী বীরসিংহ সফরের আগে প্রথম তাল কেটেছিল রবিবার তৃণমূলের প্রস্তুতি বৈঠকে। সেই বৈঠকে আসার কথা থাকলেও অনুপস্থিত ছিলেন বিধায়ক শঙ্কর দোলই। তারপর গ্রামবাসীদের ক্ষোভ মেটাতে প্রশাসনের অন্দরে তৎপরতা শুরু হয়। সোমবার থেকেই প্রশাসনের লোকজন বীরসিংহ গ্রামে দফায় দফায় যেতে শুরু করেন। কোথায় সমস্যা, গ্রামের মানুষের কী বক্তব্য, বিদ্যাসাগরের জন্মের দু’শো বছরের অনুষ্ঠান তাঁরা কী ভাবে পালন করতে চাইছেন সে সবের খুঁটিনাটি জানার চেষ্টা করছেন তাঁরা। রাস্তা সংস্কারের জন্য মাপজোকের কাজ চলছে। বীরসিংহ ভগবতী হাইস্কুল, স্মৃতি মন্দির-সহ বিদ্যাসাগর সম্পর্কিত ভবনগুলিতে রঙের কাজ শুরু হয়েছে। স্মৃতি মন্দির লাগোয়া এলাকায় পথবাতি বসানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সাজিয়ে তোলা হচ্ছে বীরসিংহ গ্রন্থাগার।
অতীতে মুখ্যমন্ত্রীর বিভিন্ন প্রশাসনিক বৈঠকে দেখা গিয়েছে, কোনও সমস্যার কথা জানতে পারলে তিনি জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের থেকেই তার ব্যাখা চান। জেলা প্রশাসনের সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরসিংহ গ্রামে মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন গ্রামবাসীদের ক্ষোভ বাইরে এলে যে বিড়ম্বনায় পড়তে হবে সেটা জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা জানেন। তাই কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছেন না তাঁরা। জেলা প্রশাসনের এক পদস্থ আধিকারিকের কথায়, “বিদ্যাসাগরের জন্মস্থান হওয়ার সুবাদে ওই গ্রামের বাসিন্দাদের কিছু বাড়তি চাহিদা থাকবে এটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু বীরসিংহে সত্যিই যে কোনও উন্নয়ন হয়নি—এটা তো জানাই ছিল না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy