সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ঝাড়গ্রামের নির্মাণ সরঞ্জাম ব্যবসায়ী সৌরভ অগ্রওয়াল ওরফে রকি খুনের মামলার শুনানি হবে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা আদালতে। শনিবার মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে থাকা তিনজনের জামিনের আবেদন খারিজ করলেন পূর্ব মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক সঞ্চিতা সরকার।
জেলা আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে ,২০১৪ সালের এপ্রিল মাসে ঝাড়গ্রাম শহরের বাসিন্দা ২৫ বছরের সৌরভ ওরফে রকি বাড়ি থেকে ব্যাঙ্কে যাওয়ার জন্য বেরিয়ে নিখোঁজ হন। কয়েকদিন পর ঝাড়গ্রাম শহরের কিছুদূরে সাপধরা এলাকায় রাস্তার পাশে রকির মোটরবাইক উদ্ধার হয়। ঘটনায় পুলিশ রকির বাবা পবন অগ্রবাল রকির নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নামে ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ। ইতিমধ্যে রকিকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য মুক্তিপণ বাবদ তিন কোটি চেয়ে ফোন আসে। অপহরণের ঘটনায় গ্রেফতার হয় ঝাড়গ্রামের ঠিকাদার অশোক শর্মা। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই ওড়িশার গঞ্জাম থেকে উদ্ধার রকির মৃতদেহ শনাক্ত হয়। জড়িত অভিযোগে অশোকের স্ত্রী পূর্ণিমা, ভাইপো সুমিত শর্মা, ভাইয়ের শ্যালক দীনেশ শর্মা, তাঁর বাড়ির পরিচারক তোতোন রানা-সহ ৫ জন গ্রেফতার হন। পাঁচজনেরই জেল হেফাজত হয়। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে জামিন পান অশোক শর্মার স্ত্রী পূর্ণিমা। মামলায় বাকি চারজন অভিযুক্ত জেল হেফাজতে রয়েছেন।
মামলা চলাকালীন অভিযুক্ত অশোক শর্মা আইনি সাহায্য না পাওয়ার কারণ দেখিয়ে মামলা অন্যত্র স্থানান্তর করার জন্য হাইকোর্টে আবেদন জানান। হাইকোর্ট ওই আবেদন খারিজ করে মামলা ঝাড়গ্রাম আদালতেই শুনানির জন্য নির্দেশ দেয়। ফের অশোক শর্মা সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানান। সুপ্রিম কোর্ট মামলা পূর্ব মেদিনীপুর জেলা আদালতে স্থানান্তর করে শুনানির নির্দেশ দেয়। আগামী ৪ মার্চ পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য হয়েছে। এ দিকে অভিযুক্ত সুমিত শর্মার জামিনের আবেদন আগেই খারিজ হয়েছে জেলা আদালতে। এ দিন মামলায় অভিযুক্ত অশোক শর্মা, দীনেশ শর্মা ও তোতোন রানার জামিনের আবেদন করা হয়। বিচারক তাঁদের তিনজনেরই জামিনের আর্জি খারিজ করে দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy