মেজাজে: জনসংযোগে দিলীপ (বাঁ দিকে) পদযাত্রার ফাঁকে শুভেন্দু ( ডান দিকে)। বৃহস্পতিবার খড়গপুরে ছবি: দেবরাজ ঘোষ
রেলশহরে উপ-নির্বাচনের মুখে জমে উঠছে ‘দাদাগিরি’। একই দিনে শহরে হাজির বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও তৃণমূলের মন্ত্রী তথা জেলার পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী। প্রচারের ফাঁকে দিলীপ শুভেন্দুকে বিঁধলেন ‘পূর্ব মেদিনীপুরের বড় মাফিয়া’ বলে। পাল্টা আক্রমণ ফিরিয়ে শুভেন্দুর মন্তব্য, ‘‘কাচের ঘরে বসে ঢিল ছুড়তে নেই।’’
বৃহস্পতিবার নিজের ‘খাসতালুক’ রেলশহরে প্রচারে এসেছিলেন স্থানীয় সাংসদ দিলীপ। সকালে শহরের ইন্দা এলাকার ১ ও ২ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার সারেন তিনি। দেখা হয় কংগ্রেসের জেলা নেত্রী হেমা চৌবের সঙ্গে। দিলীপকে দেখে প্রণাম করেন হেমা। দিলীপও হেমার মাকে প্রণাম করেন। পরে শহরের আইআইটি মূল গেটের বাইরে সভা করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, উপ-নির্বাচনে তৃণমূল মাফিয়ারাজ কায়েম করতে চাইছে। দিলীপের কথায়, “তৃণমূল জেনে গিয়েছে জিততে পারবে না। খড়্গপুরের মানুষ গুন্ডামি, মাফিয়ারাজ, অশান্তি চায় না। তাই বিজেপিকে আরও বেশি ভোটে জিতিয়েছে।”
তারপরই শুভেন্দুকে নিশানা করে দিলীপের হুঁশিয়ারি, “তৃণমূল জানে এখানকার গুন্ডারা পারবে না। তাঁদের পা দিয়ে চেপে শেষ করে দেব। তাই ওরা বড় মাফিয়া নিয়ে এসেছে পূর্ব মেদিনীপুর থেকে। অনেক লোকের নাক ঘষে দিয়েছি এই মাটিতে। তোমাকেও ঘষে দেব।” বহিরাগত আনলে পরিণতি খারাপ হবে বলেও সাবধান করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। বলেন, “ট্রেনে আসুন, বাসে আসুন। কিন্তু গোলমাল করলে যেতে হবে খাটিয়ায়। রেল হাসপাতাল, মহকুমা হাসপাতাল, প্রেমবাজার হাসপাতালে এখন থেকে বিছানা বুক করে রাখুন।” পরে তৃণমূল প্রার্থীকে একহাত নিয়ে দিলীপ বলেন, “প্রদীপ সরকারকে এ বার উপ-নির্বাচনেও হারাব। আগামী বছর পুরসভাতেও হারাব। এমন হারাব যে ভোটে দাঁড়ানোর হিম্মত হবে না।”
এ দিন শহরে প্রচারে এসে দু’টি পদযাত্রা ও একটি সভা করেন শুভেন্দু। প্রথম পদযাত্রা শুরু হয় ভগবানপুর থেকে। পরে কংগ্রেসের দখলে থাকা ১০, ১৪ ও ১১ নম্বর এলাকায় বাড়ি-বাড়ি প্রচার করেন শুভেন্দু। দ্বিতীয় পদযাত্রা শুরু হয় খরিদা থেকে। সেখানে তৃণমূলের দখলে থাকা ১৯, ৮, ৭, ও ৬ নম্বর এলাকায় পদযাত্রায় পা মেলান তিনি। সঙ্গে প্রার্থী প্রদীপ, জেলা সভাপতি অজিত মাইতি, কার্যকরী সভাপতি নির্মল ঘোষ, জেলা নেতা দেবাশিস চৌধুরী প্রমুখ। সন্ধ্যায় মালঞ্চ ধোবিঘাটে জনসভায় শুভেন্দু ইস্তাহার প্রকাশ করেন। পরে দিলীপের ‘আক্রমণ’ প্রসঙ্গে বলেন, “আমি যদি বলি উনি ঝাড়গ্রাম জেলার লোক তখন কী হবে? কাচের ঘরে বসে ঢিল ছুড়তে নেই। লড়াইটা রাজনৈতিক, ব্যক্তিগত নয়।’’ তাঁর আরও কটাক্ষ, “দিলীপবাবু সাড়ে তিন বছর বিধায়ক, ছ’মাস সাংসদ হিসাবে ফেল। অতএব ফেল করা লোককে মানুষ ভোট দেবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy