আর্থিক সাহায্য তুলে দিচ্ছেন শুভেন্দু। নিজস্ব চিত্র
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ভাঙচুর হওয়া ধর্মীয় সভাগৃহ মঙ্গলবার পরিদর্শন করলেন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। জানালেন, ওই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। সঙ্গে মন্ত্রীর বার্তা, ভাঙা সভাগৃহে বর্ষবরণে প্রার্থনা হবে।
ভগবানপুর থানার উত্তর শিবরামপুরে ধর্মীয় সভাগৃহে ভাঙচুরের ঘটনায় আগেই তিনজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই তিনজনই এলাকায় বিজেপি কর্মী হিসেবে পরিচিত। ধৃতদের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক চাপানউতোরও। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তুললেও তা অস্বীকার করেছিল গেরুয়া শিবির। এ দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে শুভেন্দু ধৃতদের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। সামগ্রিক ভাবে এড়িয়ে গিয়েছেন রাজনীতিও। সোমবার রাতে আরও একজনকে গ্রেফতার করেছেন পুলিশ। ধৃতের নাম শ্যামল শাসমল। বাড়ি শ্রীকান্তপুরে। এই নিয়ে গ্রেফতারির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪। শুভেন্দু উত্তর শিবরামপুর গ্রামে গিয়ে সভাগৃহ মেরামতির জন্য মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে আর্থিক সাহায্য দেন। সেখানে মন্ত্রী বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এখানে সহযোগিতার জন্য এসেছি। কাপুরুষের মতো যারা প্রার্থনা গৃহে হামলা করে, তারা দুষ্কৃতী-সমাজবিরোধী। এখানে কোনও রাজনীতি নেই। সব দলের লোক এখানে প্রার্থনা করতে আসে। যারা গীতা পড়েনি, তারা এই হামলাকারী।’’ সঙ্গে শুভেন্দুর পরামর্শ, ‘‘ভয় নেই। কাপুরুষদের যোগ্য জবাব দিতে বর্ষবরণে রাতে এখানে ভক্তিভরে প্রার্থনা করুন।’’
যে ধর্মীয় সংস্থার উদ্যোগে ওই গ্রামে সভাগৃহ তৈরি হচ্ছিল তার প্রতিনিধি অনুপ ঘোষ এ দিন বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী সোমবার রাতে নিজে ফোন করে ঘটনা সম্পর্কে জেনেছেন। উনি যেভাবে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাতে আমরা আশাবাদী। আশা করি, এ দিন থেকেই সভাগৃহে ফের প্রার্থনা শুরু করা যাবে।’’ ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে ছিলেন স্থানীয়েরা। তাঁদের অভিযোগ ছিল, দুষ্কৃতীরা হুমকি দিয়ে বলে গিয়েছে, ফের প্রার্থনা হলে তার পরিণতি ভাল হবে না। এলাকায় পুলিশ পিকেট না থাকায় কাটছিল না আতঙ্ক। এ দিন অবশ্য পরিস্থিতি বদলেছে। সকাল থেকে গ্রামে শুরু হয়েছে পুলিশের টহলদারি। শুভেন্দুও আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, ‘‘নিরাপত্তায় পুলিশ-প্রশাসন- সরকার আপনাদের পাশে রয়েছে। কোনও দুষ্কৃতী ছাড় পাবে না। পুলিশকে দ্রুত সকল দুষ্কৃতীকে গ্রেফতারের কথা বলা হয়েছে। কোনও অসুবিধা হলে প্রশাসনকে জানান।’’ কাঁথির এক পুলিশ আধিকারিক এ দিন বলেন, ‘‘অভিযুক্তদের মধ্যে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদেরও চিহ্নিত করা হয়েছে। দ্রুত গ্রেফতার করা হবে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’’
এ দিন মিনিট পনেরো থেকে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান শুভেন্দু। শুভেন্দুর সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের দুই বিধায়ক অর্ধেন্দু মাইতি, অমিয়কান্তি ভট্টাচার্য, ভগবানপুর-১ এর বিডিও পঙ্কজ কোনার-সহ পুলিশের পদস্থ আধিকারিকেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy