Advertisement
২৬ নভেম্বর ২০২৪
Laxmi Bhandar Scheme

এক মহিলার অ্যাকাউন্টে দুই ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ 

শ্যামবল্লভপুর গ্রামের বাসিন্দা শেখ জামামুদ্দিনের স্ত্রী আমেনা বিবির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে গত বছরে অক্টোবর মাস থেকে লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা ঢুকতে শুরু করে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
পাঁশকুড়া শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২২ ০৯:৩৪
Share: Save:

ব্যাঙ্কে এক লক্ষ্মীর ভান্ডারে ঢুকছে ঢুকছে আর এক লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা। বিষয়টি ব্লক প্রশাসনের নজরে আনার পর অতিরিক্ত একজনের টাকা ঢোকা বন্ধ হয়ে গেলেও বঞ্চিত একই নামের অন্য মহিলা। মাইশোরার শ্যামবল্লভপুর গ্রামের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিবাদ বেধেছে দুই মহিলার।

শ্যামবল্লভপুর গ্রামের বাসিন্দা শেখ জামামুদ্দিনের স্ত্রী আমেনা বিবির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে গত বছরে অক্টোবর মাস থেকে লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা ঢুকতে শুরু করে। ব্যাঙ্কের পাসবই আপডেট করেত গিয়ে আমেনা দেখতে পান, প্রতি মাসে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দু'বার করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা ঢুকছে। গ্রামেরই বাসিন্দা মুজফফর আলির স্ত্রী আমেনা বিবিও লক্ষ্মীর ভান্ডারে আবেদন করেছিলেন। শ্যামসুন্দরপুর পাটনার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে দুই আমেনারই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। অভিযোগ, জামালুদ্দিনের স্ত্রী আমেনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দু'বার করে টাকা ঢুকলেও মুজফফরের স্ত্রী আমেনার অ্যাকাউন্টে লক্ষ্মীর ভান্ডারের কোনও টাকাই ঢোকেনি।

বিষয়টি নিয়ে দুই আমেনাই ব্যাঙ্কে যোগাযোগ করেন। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ তাঁদের পাঁশকুড়া ব্লক অফিসে যোগাযোগ করতে বলেন। ব্লক অফিসে বিষয়টি জানানোর পর ব্লক অফিসের এক আধিকারিক জামালুদ্দিনের স্ত্রী আমেনাকে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে মুজফফরের স্ত্রী আমেনাকে দিতে বলেন বলে দাবি। সেই মতো জামালুদ্দিনের স্ত্রী ছ’মাসের টাকা বাবদ ৩ হাজার টাকা তুলে মুজফফরের স্ত্রী আমেনাকে দিয়ে দেন। ওই ঘটনার পর জামালিদ্দুনের স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে অতিরক্ত টাকা ঢোকা বন্ধ হয়ে যায়। যদিও মুজফফরের স্ত্রী আমেনার অ্যাকাউন্টে আজ পর্যন্ত কোনও টাকাই ঢোকেনি বলে অভিযোগ।

ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়েছে। জামালুদ্দিনের স্ত্রী আমেনার দাবি, ‘‘আমি ব্যাঙ্কে জানানোর পাশাপাশি ব্লকেও বিষয়টি জানিয়েছি। অতিরক্ত টাকা তুলে আমি আমেনাকে দিয়েছি। এখন শুধু আমার টাকাই ঢুকছে। তাও ওরা অবিশ্বাস করছে। এতে নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হচ্ছে।’’ মুজফফরের স্ত্রী আমেনার শ্বশুর জাবেদ আলি বলেন, ‘‘আজ পর্যন্ত আমার বৌমার লক্ষ্মীর ভান্ডার চালু হল না। জামালুদ্দিনের স্ত্রী ছ’মাসের টাকা তুলে বৌমাকে দিয়েছিল। ওরা বলছে এখন নাকি আমার বৌমার টাকা ওদের অ্যাকাউন্টে ঢোকে না। কিন্তু ওরা পাসবই দেখাচ্ছে না। কী করে বিশ্বাস করব! যার টাকা তার অ্যাকাউন্টে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’’

কী কারণে এই সমস্যা তৈরি হল? জেলার লিড ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার সুদীপ মাইতি বলেন, ‘‘কোনও কারণে দুই মহিলার আবেদনে একই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর লোড হয়ে গিয়েছিল। তাই এই সমস্যা। ব্লক অফিসে গিয়ে এই সমস্যার সমাধান করা যাবে।’’ পাঁশকুড়ার বিডিও ধেনদুপ ভুটিয়া বলেন, ‘‘বিষয়টি জানি না। ওঁরা সমস্ত নথিপত্র নিয়ে ব্লক অফিসে এসে আবেদন জানালে সমস্যার সমাধান করা হবে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Laxmi Bhandar Scheme Duare sarkar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy