নিজের মাটির বাড়ির সামনে শেখ আমজেদ। রবিবার। নিজস্ব চিত্র
এক জনের নামে বাড়ি তৈরির বরাদ্দ টাকা একই নামের অন্যজনকে পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল উপপ্রধানের বিরুদ্ধে। পাঁশকুড়ার রাধাবল্লভচক গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। টাকা ফেরত চাইতে গেলে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। উপপ্রধানের বিরুদ্ধে বিডিওর কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে।
রাধাবল্লভচক গ্রামের বাসিন্দা শেখ আমজেদ আলির (পিতা শেখ মুর্শেদ আলি) দাবি, ২০১৭-’১৮ অর্থবর্ষে বাংলা আবাস যোজনায় বাড়ি প্রাপকদের তালিকায় তাঁর নাম ওঠে। বছর দেড়েক আগে উপপ্রধান শেখ হায়াতুল্লা বাড়ি তৈরির রেজিস্ট্রেশনের জন্য তাঁর কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা নেন বলে অভিযোগ। আমজেদের অভিযোগ, তাঁর নামে বরাদ্দ বাড়ির টাকা তাঁকে না দিয়ে তালিকায় নাম না থাকা শেখ আমজেদ আলি নামে পাড়ারই অন্য এক ব্যক্তিকে পাইয়ে দেন উপপ্রধান। যিনি বাড়ি টাকা পেয়েছেন, তাঁর বাবার নাম শেখ খুরশেদ আলি। বাড়ি তৈরির টাকা না পেয়ে উপপ্রধানের সঙ্গে দেখা করে তাঁর দেওয়া ১০ হাজার টাকা ফেরত চান শেখ আমজাদ। তাঁর অভিযোগ, ‘‘টাকা ফেরত চাইলে উপপ্রধান তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দেন।’’ এই অবস্থায় দুই ছেলে, এক মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে মাটির বাড়িতে দিন কাটাচ্ছেন শেক আমজাদ। ঘটনার বিহিত চেয়ে পাঁশকুড়ার বিডিওর কাছে উপপ্রধানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন তিনি।
পাঁশকুড়ার বিডিও ধেনধুপ ভুটিয়া বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করা হবে।’’ বাংলা আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরির আগে যে রেজিস্ট্রেশন হয় তার জন্য কি সত্যিই টাকা লাগে? বিডিও জানান, বাড়ির জন্য বরাদ্দ টাকা পাওয়ার আগে যে রেজিস্ট্রেশন হয় তার জন্য কোনও টাকা লাগে না। এ বিষয়ে অভিযুক্ত উপপ্রধান শেখ হায়াতুল্লাকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগে দলের পাঁশকুড়া ব্লক সভাপতি দীপ্তি জানা বলেন, ‘‘বিডিও তদন্ত করে দেখুন। অভিযোগ সত্য হলে উপপ্রধানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। এ ব্যাপারে দল কোনও হস্তক্ষেপ করবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy