অমর্ষিতে একটি সংস্থার অনুষ্ঠানে নৃত্যশিল্পী অলকানন্দা রায়। নিজস্ব চিত্র
সংশোধনাগারের বন্দিদের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনতে তিনি তৈরি করেছিলেন ‘বাল্মীকি প্রতিভা’। নৃত্যশিল্পী অলকানন্দা রায় এ বার পটাশপুরের প্রত্যন্ত এলাকায় নৃত্যশিল্প ও সংস্কৃতির বিকাশ ঘটাতে উৎসাহী।
পটাশপুরের নৃত্যনন্দন কালচারাল অ্যাকাডেমির ‘বসন্তের আলাপন’ অনুষ্ঠান অমর্ষির একটি গেস্ট হাউসে শুরু হয়। প্রত্যন্ত এলাকায় ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে নৃত্য ও গান। উৎসহ হারাচ্ছে সাংস্কৃতিক চর্চা। অ্যাকাডেমি এলাকার ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গীত ও নৃত্যকলার প্রশিক্ষণ দেয়। এই অ্যাকাডেমিরর সঙ্গেই পরোক্ষভাবে যুক্ত রয়েছেন নৃত্যশিল্পী অলকানন্দা রায়ের ছাত্র ছাত্রীরা। প্রত্যন্ত এলাকায় নানা প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সঙ্গীত ও নৃত্য সংস্কৃতির বীজ বপন করাটাই ছিল একটা বড় চ্যালেঞ্জ। সেই জায়গায় এই সংস্থার দেখানো পথেই এলাকায় একাধিক সংস্থা সঙ্গীত ও নৃত্যকলা প্রশিক্ষণ শুরু করেছে।
অমর্ষির মতো প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষ যেখানে কৃষিকাজ নিয়ে সদা ব্যস্ত থাকেন। সেখানে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার বাইরে সঙ্গীত ও নৃত্যকলা চর্চার জন্য স্কুলে পাঠানো তাঁদের কাছে একপ্রকার বিলাসিতা বলে মনে করেন অনেকে। তবু নানা বাধা পেরিয়ে এলাকায় অভিভাবকদের মধ্যে সংস্কৃতি চর্চার প্রসার বাড়ছে এই সমস্ত প্রতিষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। রবিবার ‘বসন্ত আলাপন’ অনুষ্ঠানে সংস্থার ছাত্র সৌমেন রানার আহ্বানে উপস্থিত ছিলেন অলকানন্দা। প্রত্যন্ত এলাকায় বাংলার সংস্কৃতিকে বাঁচানোর লড়াইকে সাধুবাদ জানান তিনি। অলকানন্দা বলেন, ‘‘কলকাতা থেকে বহুদূরে পটাশপুরের মতো প্রত্যন্ত এলাকায় যেভাবে সঙ্গীত ও নৃত্যের মেল বন্ধন হচ্ছে তাতে সত্যিই মনোমুগ্ধ হলাম। প্রত্যন্ত এলাকায় এই সংস্কৃতি এগিয়ে নিয়ে যেতে অনেক বাধা বিপত্তি ও ধাক্কা খেতে হয়। ধাক্কা খেয়ে খেয়ে আমাদের আরও শক্ত হতে হয়। শেষ পর্যন্ত রাস্তা খুঁজে আমরা একদিন সমুদ্রে মিশে যাব। আমি আবার আপনাদের পাশে আসবো।’’
এদিনের অনুষ্ঠানে শতাধিক সঙ্গীত ও নৃত্যকলার ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবক অংশগ্রহণ করেন। উপস্থিত ছিলেন নৃত্যশিল্পী তাপস দেবনাথ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy