ঘাটাল কলেজের গেটের সামনে টিএমসিপি সমর্থকদের জটলা (বাঁ দিকে)। ওই কলেজের সামনে দিয়ে মিছিল এবিভিপির। ছবি: কৌশিক সাঁতরা।
এবিভিপি সমর্থকদের মারধর ও কলেজ থেকে বহিরাগতদের বের করা দাবিতে উত্তেজনা ছড়াল ঘাটাল কলেজে। মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকেই ওই ক্যাম্পাস তেতে ওঠে।
অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (এবিভিপি) অভিযোগ, ঘাটাল কলেজের ভেতরে তাদের সমর্থকদের মারধর করে কলেজ থেকে বের করে দেওয়া হয়। পরীক্ষার সময়ে কলেজে ছাত্র সংসদের অফিস বন্ধ থাকার কথা। তবে ঘাটাল কলেজে এমন নিয়ম কখনও মানা হয় না। এখন দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রদের পরীক্ষা চললেও ছাত্র সংসদ অফিস খোলা রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, বৈধ পরিচয়পত্র ছাড়া কলেজে ঢোকা যাবে না। সেই নিয়ে কড়াকড়িও রয়েছে। তবু বহিরাগত প্রবেশ আটকানো যায়নি। সেই বহিরাগতদের বের করে দেওয়ার দাবি জানায় এবিভিপি। পথ অবরোধও করে তারা। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ লক্ষীকান্ত রায় বলেন, “কলেজের ভিতরে গোলমাল হয়নি।”
কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার থেকেই কলেজে উত্তেজনা ছিল। ওই দিন বহিরাগতদের প্রবেশ নিষেধ-সহ কলেজের পরিকাঠামো উন্নয়নের দাবিতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার কথা ছিল এবিভিপির। অভিযোগ, টিএমসিপির বাধায় সেই কর্মসূচি শেষ পর্যন্ত হয়নি। এর মধ্যেই মঙ্গলবার বহিরাগতদের হাতে এভিবিপির কলেজ নেতা অগ্নিভ মণ্ডল-সহ কয়েকজন মার খায়। এরপর কলেজের ভিতরে টিএমসিপি ও বাইরে এবিভিপি সমর্থকেরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। পুলিশি টহলের পরই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
এভিবিপির ঘাটাল নগর কমিটির পক্ষে সায়ন সেনগুপ্তের অভিযোগ, “মঙ্গলবার সংগঠনের প্রতিষ্ঠা দিবস ছিল। টিএমসিপির ছেলেরা তা পালন করতে দেয়নি। আমাদের ছাত্র সমর্থকদের মারধর করা হচ্ছে। স্মারকলিপিও দিতে দেওয়া হয়নি। যদিও অথচ টিএমসিপির বহিরাগতরা অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে।” টিএমসিপির পক্ষে তুফান দোলই অবশ্য বলেন, “আমরা কাউকে মারধর করিনি। কলেজে বহিরাগতও নেই। ক্যাম্পাসে এবিভিপির কোনও সংগঠনই নেই। প্রচারে আসতে নিজেরাই গোলমাল পাকাচ্ছে।”
এ দিনই টিএমসিপি ও এবিভিপি-র মধ্যে গোলমালের জেরে মঙ্গলবার দুপুরে উত্তেজনা ছড়াল ঝাড়গ্রাম রাজ কলেজে। কলেজের এবিভিপি-র ইউনিটের এক নেত্রীকে টিএমসিপি-র এক নেত্রী চড় মেরেছেন অভিযোগ তুলে কলেজে বিক্ষোভ দেখায় গেরুয়া ছাত্র সংগঠনটি।
সম্প্রতি রাজ কলেজে ইউনিট খুলেছে এবিভিপি। কলেজের বাইরে সংগঠনের পতাকাও টাঙিয়েছিল গেরুয়া ছাত্র সংগঠনটি। অভিযোগ, কয়েকদিন আগে সেই সব পতাকা ছিঁড়ে ফেলে দেয় টিএমসিপি। এদিন কলেজে টিএমসিপি-র কলেজ ইউনিটের কার্যকরী সভানেত্রী শিলা দাসের সঙ্গে এবিভিপি-র কলেজ ইউনিটের অন্যতম কার্যকর্ত্রী লাবনী সাহার বচসা শুরু হয়।
পরে জেলা এবিভিপির নেতা ধ্রুবকুমার মাহাতোর নেতৃত্বে সংগঠনের কর্মীরা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কাছে গিয়ে লাবনীর নিরাপত্তার দাবি করেন। ধ্রুবের দাবি, ‘‘ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চাইছেন। উনি পুলিশকে ঘটনাটি না জানানোয় পুলিশ লাবনীর অভিযোগ নেয়নি। । টিএমসিপি-র জেলা কার্যকরী সভাপতি আর্য ঘোষ বলেন, ‘‘ব্যক্তিগত ঘটনাকে নিয়ে রাজনীতি করছে এবিভিপি।’’
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দেবনারায়ণ রায় বলেন, ‘‘দুই সহপাঠিনীর মধ্যে বচসা হয়েছিল। দু’জনের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা মিটিয়ে দিয়েছি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy