প্রতীকী চিত্র
সপ্তাহ ঘুরতেই কিশোর ‘তান্ত্রিকে’র হাতে বালক খুনের ঘটনায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়াল এলাকায়।
শনিবার সকালে খড়্গপুর শহর ঘেঁষা গ্রামীণ থানার ওই গ্রাম থেকে আরেক বালককে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। গ্রামবাসীর দাবি, ওই বালক ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী। তাঁকে কেন পুলিশ থানায় নিয়ে গেল, এই প্রশ্নেই ক্ষোভ ছড়ায়। গ্রামবাসীরা জড়ো হয়ে খড়্গপুর গ্রামীণ থানার সাদাতপুর ফাঁড়িতে গিয়ে বিক্ষোভও দেখান। পুলিশ যথাযথ তদন্ত করছে না বলে অভিযোগ তোলেন বিক্ষোভকারীরা। পরে পুলিশ জানায়, ওই বালককে গোপন জবানবন্দির জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এরপর বিক্ষোভ দাঁড়ি পড়ে।
গত ২১ সেপ্টেম্বর গ্রামের নিখোঁজ এক বালকের দেহ উদ্ধার হয় পড়শি কিশোরের বাড়িতে। ওই কিশোর ‘তন্ত্রসাধনা’ করতে সাত বছরের বালককে খুন করেছে বলে অভিযোগ তোলেন গ্রামবাসী ও মৃতের পরিজনেরা। কিশোরের পরিবারের বিরুদ্ধেও অভিযোগের আঙুল ওঠে। ঘটনায় ১৬জনের নামে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে মৃত বালকের পরিবার। ওই কিশোর-সহ তার পরিবারের চারজনকে গ্রেফতার করার দাবি ওঠে। পুলিশের সামনেই ভাঙচুর করা হয় কিশোরের বাড়ি। সব মিলিয়ে ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৪জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে ক্ষোভ মিটছে না গ্রামবাসীদের। তাঁদের দাবি, পুলিশ সঠিকভাবে তদন্ত করছে না। তান্ত্রিক কিশোর যে ঘরে ওই বালককে খুন করেছিল বলে অভিযোগ, সেই ঘরটি খোলা হয়নি বলেও ক্ষুব্ধ ছিল গ্রামবাসীদের একাংশ।
এরই মাঝে এ দিন সকালে এসে পুলিশ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আরেক বালককে নিয়ে যাওয়ায় ক্ষোভ ছড়ায়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, প্রসাদ খাওয়ানোর নাম করে মৃত বালকের সঙ্গেই এই বালককেও ডেকে নিয়ে গিয়েছিল তান্ত্রিক কিশোর। পরে মারধর করা হয়েছিল সকলকেই। কোনওমতে এই বালক পালিয়ে আসে। ঘটনার কথা গ্রামবাসীদের কাছে নাকি আগেই স্বীকার করেছে ওই বালক। কিন্তু তাকে কেন থানায় নিয়ে যাওয়া হল, তা নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। মৃত বালকের ঠাকুমা বলেন, “আমাদের মনে হচ্ছে ওই বালককে নিয়ে গিয়ে অন্য কিছু স্বীকার করানোর চেষ্টা করছে পুলিশ। আসলে পুলিশ ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে চাইছে। আমরা বারবার বলা সত্ত্বেও রক্তমাখা একটি কাপড় পুলিশ সংগ্রহ করেনি। এখন পুলিশ বলছে বৃষ্টিতে রক্ত ধুয়ে গিয়েছে। আমাদের দাবি সঠিক তদন্ত করতে হবে। প্রয়োজনে সিআইডিকে দায়িত্ব দিতে হবে।”
তবে খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজি সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, “তদন্ত সঠিক গতিতে এগোচ্ছে। ঘটনা সম্পর্কে জানতেই প্রত্যক্ষদর্শী ওই বালককে নিয়ে আসা হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy