নববর্ষের সকালে প্রিয়জনের শুভকামনায় পুজো। মেদিনীপুরের বটতলার কালীমন্দিরে
কোথাও ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কোথাও বৈঠকী আড্ডা, কোথাও আবার দুঃস্থ ছাত্রছাত্রীদের পাঠ্যসামগ্রী প্রদান। বাংলা বছরের প্রথম দিনটিকে বরণ করে নিতে নানা অনুষ্ঠান হল দুই শহরে।
বৃহস্পতিবার সকালে মেদিনীপুরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করে শিশু সংগঠন সব পেয়েছির আসর। বিদ্যাসাগর হলের মাঠ থেকে বেরিয়ে শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে ট্যাবলোয় সাজানো শোভাযাত্রা। বিকেলে বিদ্যাসাগর হলের মাঠে হয় কচিকাঁচাদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আসরের উদ্যোগে আগে যে বসে আঁকো প্রতিযোগিতা হয়েছিল, তাতে সফলদের এই অনুষ্ঠান মঞ্চে পুরস্কৃত করা হয়। ‘জাতীয় ক্রীড়া ও শক্তি সঙ্ঘ, পশ্চিম মেদিনীপুর’-এর উদ্যোগেও অরবিন্দ স্টেডিয়ামের সামনে থেকে প্রভাতফেরি বেরোয়। পরে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। মেদিনীপুর ড্যান্সার্স ফোরাম পরিবেশন করে ‘বৈশাখী’। সকালে বিদ্যাসাগর হলে এই অনুষ্ঠানে ছিল একক নৃত্য, সমবেত নৃত্য।
মেদিনীপুর শহরের অশোকনগর রেনেসাঁ ক্লাব এবং অশোকনগর সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির উদ্যোগে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান হয়। রেনেসাঁ ক্লাব সংলগ্ন মাঠে নাচে, গানে, কবিতায় আনন্দঘন পরিবেশ তৈরি হয়। বৃহস্পতিবার ছিল অম্বেডকরের জন্মবার্ষিকী। মেদিনীপুর শহর কংগ্রেসের উদ্যোগে শহরের অম্বেডকর কলোনিতে দুঃস্থ ছাত্রছাত্রীদের পাঠ্যসামগ্রী প্রদান করা হয়। শহর কংগ্রেস সভাপতি সৌমেন খান জানান, সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই এই কর্মসূচি। পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে শহরের গোলকুয়াচকের অদূরে বনদেবীর মন্দিরের কাছে পথচলতি মানুষদের সরবত দেওয়া হয়।
নতুন বছরে সাজানো হচ্ছে দোকান। শহরের মীরবাজারে। — সৌমেশ্বর মণ্ডল।
নববর্ষের আগের দিন অর্থাৎ বুধবার সন্ধ্যায় মেদিনীপুর শহরের লোকনাথপল্লিতে জ্বলদর্চি দফতরে অনুষ্ঠিত হয়েছে নববর্ষের বৈঠকী আড্ডা। প্রকাশিত হয়েছে জ্বলদর্চি ও দৃষ্টিপথ পত্রিকার নববর্ষ সংখ্যা। অমিত্রাক্ষর পত্রিকার মেদিনীপুর সাহিত্য জেলা সংখ্যা। আড্ডাতে কেউ করেছেন গান, কেউ এঁকেছেন ছবি, কেউ করেছেন স্মৃতিচারণা। আড্ডায় অংশ নেন চপল ভট্টাচার্য, চিন্ময় দাশ, সুভাষ জানা প্রমুখ। গান- আবৃত্তির মাঝে চলেছে দেদার আড্ডা ও বাঙালির ভূরিভোজ। আড্ডায় সূত্রধরের ভূমিকায় ছিলেন সঞ্জীব ভট্টাচার্য। উদ্যোক্তাদের পক্ষে রুম্পা প্রতিহার ও সুব্রত দাস বলেন, “আড্ডা তো বাঙালির সংস্কৃতির অঙ্গ। বাংলার সংস্কৃতিকে গুরুত্ব দিতেই এই বৈঠকী আড্ডার আয়োজন।’’ আই-সোসাইটির উদ্যোগে অনলাইন দৈনিক সাহিত্যপত্র নতুন রূপে পথচলা শুরু করল এদিন। সকালে শহরের ফিল্ম সোসাইটির সভাঘরে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিল।
নতুন বাংলা বছরকে স্বাগত জানাতে নানা অনুষ্ঠান হয়েছে খড়্গপুরেও। সুভাষপল্লি জনকল্যাণ সমিতির বর্ণাঢ্য প্রভাতফেরিতে কচিকাঁচা থেকে শিল্পী, সকলেই নাচ-গান-আবৃত্তিতে যোগ দেন। খরিদা, সুভাষপল্লি, পদ্মপুকুর হয়ে শ্রীকৃষ্ণপুর এলাকা ঘোরে প্রভাতফেরি। ক্লাবের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে ইন্দা শরৎপল্লির সবুজ সঙ্ঘ ১৯৭৬ সাল থেকে এই দিনে অনুষ্ঠান করে আসছে। গ্রীষ্মে রক্তের আকাল মেটাতে হয়েছে রক্তদান শিবির। রক্ত দিয়েছেন ৭৫ জন স্থানীয় বাসিন্দা। বিকেলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও হয়। সন্ধ্যায় শহরের গোলবাজার দুর্গামন্দির কমিটির উদ্যোগে বর্ষবরণ হয় নাচ-গান-আবৃত্তিতে। এ দিন বেলদার কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ট্যাবলো সহযোগে নাচে-গানে-আবৃত্তিতে সাজানো শোভাযাত্রা বেরোয়। বেলদার বাসস্ট্যান্ড থেকে বেরিয়ে বিবেকানন্দ মূর্তি, অম্বেডকর মূর্তি হয়ে বেলদা শহর পরিক্রমা করে গাঁধী মূর্তির কাছে শোভাযাত্রাটি শেষ হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy