সাঁকরাইল ব্লকের ছোড়দা গ্রামে হাতির হানায় ভাঙা বাড়ির সামনে এক দম্পতি। নিজস্ব চিত্র।
চলছে মাধ্যমিক। তাই সকাল থেকেই হাতির গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে একাধিক পদক্ষেপ করছে বন দফতর। চলছে পাহারাও। কিন্তু তাতেও এড়ানো গেল না বিপত্তি। সোমবার সকালে ঝাড়গ্রামের পুকুরিয়া ক্যানেল পাড়ে এক ব্যক্তি হাতির হানায় জখম হয়েছেন। আবার রবিবার রাতে সাঁকরাইল ব্লকের খুদমরাই গ্রাম পঞ্চায়েতের ছোড়দা গ্রামে হাতির তাণ্ডবে ভেঙেছে তিনটি মাটির বাড়ি। একে হাতির আনাগোনা, তার উপর ঘন কুয়াশা। সব মিলিয়ে হাতি তাড়াতে হিমশিম খাচ্ছেন বনকর্মী ও হুলাপার্টির সদস্যরা।
এই মুহূর্তে খড়্গপুর ডিভিশনে ৩২টি, মেদিনীপুর ডিভিশনে ৩৬টি, রূপনারায়ণ ডিভিশনে পাঁচটি ও ঝাড়গ্রাম ডিভিশনে ২৫টি হাতি রয়েছে। এ দিকে, মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় এগিয়েছে দু’ঘণ্টা। পডুয়াদের সুষ্ঠু ভাবে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছতে গাড়ি থেকে ড্রপ-গেটেরও ব্যবস্থা করেছে বন দফতর। কিন্তু এ সবের মাঝেই এ দিন সকালে হাতির হানায় ঝাড়গ্রামে গোষ্ঠ মল্লিক নামে বছর চল্লিশের এক ব্যক্তি জখম হয়েছেন। জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে ঘন কুয়াশার সময় রাজপাড়া ক্যানেল পাড়ে একটি হাতির কাছাকাছি চলে আসেন গোষ্ঠ। হঠাৎ হাতি দেখে পড়ে গেলে, হাতিটি তাঁকে পা দিয়ে ঠেলে দেয়। এতে হাতে ও বুকে চোট পান। গোষ্ঠকে ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ঝাড়গ্রামের এডিএফও পার্থ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সকালে হাতিটি রাস্তা পারাপার করছিল। ঘন কুয়াশার জন্য উনি বুঝতে পারেনি। হাতির কাছকাছি চলে যান তিনি।’’
অন্য দিকে, খড়্গপুর ডিভিশনের কুলাইকুন্ডা রেঞ্জের ছোড়দা গ্রামে গত কয়েকদিন ধরেই তাণ্ডব চালাচ্ছে একটি দলছুট।
রবিবার রাতে বদন হাঁসদা, রবীন্দ্র হাঁসদা ও জবা রানার বাড়ি ভেঙেছে হাতিটি। গত শনিবারও দু’টি বাড়ি ভেঙেছিল ওই দলছুট। এলাকায় দলছুটের তাণ্ডবে নাজেহাল গ্রামবাসী। খড়্গপুরের ডিএফও মনীশ যাদব বলেন, ‘‘রবিবার এলাকায় কুয়াশা ছিল। ফলে হাতি তাড়াতে খুবই সমস্যা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের খুব দ্রুত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।’’ মাধ্যমিক চলাকালীন বন দফতর হাতি রুখতে তৎপরতার দাবি করা সত্ত্বেও, কী ভাবে হাতি লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।খবর, শনিবার রাতে কলাইকুণ্ডা বোমা নিক্ষেপণ-কেন্দ্র ছাড়িয়ে একটি হাতি বাঁশপাতড়ি, জঠিয়া, মূলবাঁধের জঙ্গল ধরে সালুয়ার দিকে এগোতে থাকে। সালুয়া পৌঁছনোর আগে ভেটিয়ায় জঙ্গল ছাড়িয়ে লোকালয়ে হাতিটি চলে আসায় শোরগোল পড়ে যায়। আসেন বনকর্মীরা। হাতিটিকে ভেটিয়ায় আটকে দেওয়া হয়। এর পরে হাতিটি ফের ভেটিয়ার জঙ্গল হয়ে মূলবাঁধের জঙ্গলে ফিরে আসে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy