অভিষেকের সভাস্থলেই পাল্টা সভার তোড়জোড় গোড়ায় করেছিল জেলা বিজেপি। —ফাইল ছবি
দিন একই থাকলেও কাঁথিতে শুভেন্দু অধিকারীর সভাস্থল বদলে গেল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা করে যাওয়া প্রভাত কুমার কলেজের মাঠ নয়, ২১ ডিসেম্বর শুভেন্দু সভা করবেন কাঁথি শহরে নরেন্দ্র মোদীর পুরনো সভাস্থলে।
গত ৩ ডিসেম্বর প্রভাত কুমার কলেজের মাঠে সভা করেছেন সর্বভারতীয় তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক। ওই মাঠেই আগামী ২১ ডিসেম্বর পাল্টা সভা করবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু— এমনটাই ঘোষণা করেছিল বিজেপি। কিন্তু কলেজের অনুমতি না পাওয়ায় সভাস্থল পাল্টেছে। ওই সভা হবে কাঁথি স্টেশন সংলগ্ন চাষজমিতে। ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের প্রচারে এখানেই সভা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
শুভেন্দুর সভার প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু করেছে জেলা বিজেপি। সোমবার সকালে কাঁথি শহরের একটি বেসরকারি অতিথিশালায় দলের জরুরি বৈঠকে শুভেন্দু নিজেও উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার বিধায়করা, জেলা কমিটির সব সদস্য এবং মণ্ডল সভাপতিরা। বৈঠকে জানিয়ে দেওয়া হয়, ২১ ডিসেম্বরের সভায় প্রধান বক্তা শুভেন্দুই। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বা তারকা-নেতা মিঠুন চক্রবর্তী আসতে পারেন বলে যে জল্পনা শোনা যাচ্ছিল, সে সবকে এ দিন অপপ্রচার বলে জানান শুভেন্দু।
বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার অন্যতম সাধারণ সম্পাদক তথা জেলা পরিষদ সদস্য চন্দ্রশেখর মণ্ডল বলছেন, ‘‘বিরোধী দলনেতার সভা ভন্ডুল করতে প্রশাসনের সব স্তরে চক্রান্ত চলছে। তবু হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে ২১ ডিসেম্বর শুধুমাত্র কাঁথি সাংগঠনিক জেলার উদ্যোগে রেলস্টেশন সংলগ্ন মাঠে সভা সফল করার প্রস্তুতি শুরু করেছি। এ দিন শুভেন্দু যে পরামর্শ দিয়েছেন, সেই মতো সভার আয়োজন করছি’’
এ দিকে, ২১ ডিসেম্বরই কাঁথিতে যুব তৃণমূলের ব্যানারে ‘বেইমান মুক্ত দিবস’ পালন করা হবে। অভিষেকই জেলা জুড়ে দলত্যাগী শুভেন্দুকে নিশানা করে এই কর্মসূচি পালনের নির্দেশ দিয়ে গিয়েছেন। শুভেন্দুর সভার দিনই ওই কর্মসূচি হবে কাঁথি শহরের সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ডে। রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি, তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের মতো নেতারা উপস্থিত থাকবেন। কাঁথি শহর যুব তৃণমূলের সভাপতি সুরজিৎ নায়ক বলেন, ‘‘প্রশাসনের কাছে অনুমতি চেয়ে আগেই আবেদন করেছি। একই দিনে অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি থাকলে তারাও তা সুষ্ঠুভাবে পালন করতেই পারে।’’
অভিষেকের সভাস্থলেই পাল্টা সভার তোড়জোড় গোড়ায় করেছিল জেলা বিজেপি। কাঁথি প্রভাত কুমার কলেজের মাঠ চেয়ে অধ্যক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছিল তারা। কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেন, ১১ থেকে ২৪ ডিসেম্বর ক্লাবের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা রয়েছে। তারপরে জানুয়ারিতে কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা রয়েছে। ফলে, সভার জন্য মাঠ দেওয়া সম্ভব নয়। এরপর সভার অনুমতি চেয়ে হাই কোর্টে যান বিজেপি নেতৃত্ব। শব্দবিধি মেনে এবং যাতে অশান্তি না হয় তা নিশ্চিত করে ২১ ডিসেম্বর সভা করার অনুমতি দেন হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। সেই মতো প্রস্তুতি চলছে।
শুভেন্দুর সভা প্রসঙ্গে কাঁথির এসডিপিও সোমনাথ সাহা বলেন, ‘‘মহামান্য হাই কোর্ট মহকুমাশাসককে যা নির্দেশ দিয়েছে, সেই মাফিক মহকুমাশাসক যা নির্দেশ দেবেন তা পালন করা হবে।’’ এ ব্যাপারে মহকুমাশাসক সৌভিক ভট্টাচার্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়ে ফোন করা হয়েছিল। তবে তিনি একটি ভার্চুয়াল কনফারেন্সে ব্যস্ত থাকায় প্রতিক্রিয়া জানা সম্ভব হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy