Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
corona virus

সেফ হোম থেকে ঘরে ফিরলেন করোনাজয়ী বৃদ্ধ

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার হলদিয়ার এই সেফহোম থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন পাঁশকুড়ার বাসিন্দা ওই বৃদ্ধ। একাধিক কোমর্বিডিটি থাকা সত্ত্বেও তাঁর শরীর থেকে নির্মূল হয়েছে করোনা। এটাতেই আশার আলো দেখছেন জেলার চিকিৎসক মহল থেকে সাধারণ  মানুষ।

প্রতীকী চিত্র

প্রতীকী চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
হলদিয়া শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২০ ০১:৩৮
Share: Save:

করোনা নিয়ে আতঙ্কিত নয়, উল্টে করোনাকে যুদ্ধে হারিয়ে সেফহোম থেকে বাড়ি ফিরলেন ৭২ বছরের বৃদ্ধ। সেফ হোমের পরিকাঠামো, সেখানে অব্যবস্থার অভিযোগ তুলে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ উঠলেও এই ঘটনায় সাধারণ মানুষের মন থেকে করোনাভীতি দূর করতে অনেকটাই সহায়ক হবে বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের অভিমত।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার হলদিয়ার এই সেফহোম থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন পাঁশকুড়ার বাসিন্দা ওই বৃদ্ধ। একাধিক কোমর্বিডিটি থাকা সত্ত্বেও তাঁর শরীর থেকে নির্মূল হয়েছে করোনা। এটাতেই আশার আলো দেখছেন জেলার চিকিৎসক মহল থেকে সাধারণ মানুষ। করোনা হলেই আতঙ্কিত হওয়া নয়, প্রয়োজন সঠিক সময়ে চিকিৎসা এবং পথ্য অর্থাৎ পুষ্টিগুণে ভরপুর খাবারদাবার। যা করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বাড়িয়ে দেয়। এমনটাই বলছেন চিকিৎসকেরা।
মেচোগ্রামের কোভিড হাসপাতাল বড়মায় শয্যা সংকুলান না হওয়ায় বেশ কিছু উপসর্গহীন আক্রান্তকে পাঠানো হয়েছিল হলদিয়ার এই সেফহোমে। দিন দশেক আগে পাঁশকুড়ার করোনা পজ়িটিভ ওই বৃদ্ধকে নিয়ে আসা হয় সেফহোমে। তবে তাঁর পরিবারের কেউ সংক্রমিত হননি। সপ্তাহ খানেক আগে প্রথম ধাপে এই সেফহোম থেকেই ৩০ জন রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বর্তমানে ৭০ জন রোগী সেফহোমে রয়েছেন। বৃহস্পতিবার ১০ জনকে ছুটি দেওয়া হয়েছে এখান থেকে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সরকারি গাইডলাইন মেনে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা চলছে এই সেফ হোমে।

তবে সেফহোম থেকে সুস্থ হয়ে অনেকে বাড়ি ফিরে গেলেও এখানকার খাবারের মান নিয়ে ইতিমধ্যেই অনেকে অভিযোগ তুলেছেন। এখানে থাকা আক্রান্তদের অনেকে জানান, যে খাবার দেওয়া হয় তা নিম্নমানের। তাও আবার পরিমাণে প্রয়োজনের তুলনায় কম। হোমের এক প্রাক্তন আবাসিকের কথায়, ‘‘প্রথমদিকে পলিথিন ঠোঙায় চানাচুর-মুড়ি খেতে দেওয়া হত। যেখানে করোনা প্রতিরোধে পুষ্টিযুক্ত খাবার খেতে বলা হচ্ছে। সেখানে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে এমন খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে দেখে অবাক হয়েছিলাম।’’
করোনা জয় করে ফের পরিবারে-পরিজনের মধ্যে ফেরার জন্য বৃদ্ধ যাবতীয় কৃতিত্ব দিয়েছেন চিকিৎসকদের। তাঁর কথায়, ‘‘ওখানকার চিকিৎসকদের অকুণ্ঠ সহযোগিতায় আমি করোনাকে জয় করতে পেরেছি। যখন ওখানে গিয়েছিলাম তখন খুব আতঙ্কে ছিলাম। বাড়ি ফিরেছি খুব ভাল অভিজ্ঞতা নিয়ে।’’ তবে খাবারের মান ও পরিমাণ নিয়ে নালিশ রয়েছে তাঁরও। তিনি জানান, ‘‘তাঁর মতো বয়স্ক ব্যক্তিদের সিঁড়িতে উঠে গিয়ে খাবার আনতে হতো যা খুব কষ্টকর ছিল। তাঁর আশা, স্বাস্থ্য দফতর খাবারের মানের গিতে নজর দেবে।
সেফ হোমের দায়িত্বে রয়ে‌ছেন হলদিয়ার ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক দিব্যজ্যোতি বসু। তিনি বলেন, ‘‘সরকারি নিয়মনীতি মেনেই চিকিৎসা হচ্ছে। খাবারের বিষয় নিয়ে অভিযোগ কানে এসেছে।বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Covif 19 Haldia
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy