Advertisement
২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
পিংলা

তড়িঘড়ি জামিন ৩ তৃণমূল কর্মীর

সিপিএম কর্মীকে বিদ্যুতের তার দিয়ে মারধরের ঘটনায় তিন তৃণমূলকর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার রাতে পিংলার পিণ্ডরুই গ্রামের ওই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
খড়্গপুর শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০১৬ ০৭:০৬
Share: Save:

সিপিএম কর্মীকে বিদ্যুতের তার দিয়ে মারধরের ঘটনায় তিন তৃণমূলকর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার রাতে পিংলার পিণ্ডরুই গ্রামের ওই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃত অরুণ দাস, বকা ডাকুয়া ও বিশ্বজিৎ খাটুয়ার নামে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন গোপাল মাইতি নামে ওই প্রহৃত সিপিএম কর্মী।

ধৃতরা সকলেই অবশ্য এ দিন মেদিনীপুর জেলা আদালত থেকে জামিন পেয়ে গিয়েছে। তা ছাড়া, ঘটনায় মূল অভিযুক্ত নীহার মহাপাত্র এখনও অধরা। ফলে, ফের হামলার আশঙ্কা করছেন গোপালবাবু। এমনকী সোমবার সকালেও হাসপাতালে গিয়ে ফের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর।

পিংলার পিণ্ডরুই গ্রামেই স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রের পৈতৃক বাড়ি। অভিযোগ, এ বার গ্রামের সকলকেই ঘাসফুলে ভোট দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল তৃণমূলের তরফে। আর গোপালবাবুদের পরিবার বরাবরের সিপিএম সমর্থক হওয়ায় তাদের ভোট দিতে যেতে নিষেধ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। গোপালবাবুদের পরিবার আবার সৌমেনবাবুদের জমিতে দীর্ঘদিন ধরে চাষাবাদ করে। তাই তাদের দাবি, এ বার সৌমেনবাবুকেই ভোট দিয়েছেন। কিন্তু তৃণমূল তা বিশ্বাস করছে না। তাই এই হামলা।

গোপালবাবুর দাদা তুলসী মাইতি বলেন, “আমরা সৌমেনবাবুকেই ভোট দিয়েছি। কিন্তু তৃণমূল তা বিশ্বাস করছে না। তাই লাগাতার আমাদের উপরে অত্যাচার চলছে।’’ সেই কারণেই শনিবার বিকেলে গোপালবাবুকে বিদ্যুতের তার দিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে পিংলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

রবিবার সকালে চারজন তৃণমূলকর্মীর নামে অভিযোগ দায়ের করেন গোপালবাবু। রাতে পিংলা থানার পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতারও করে। তবে মূল অভিযুক্ত নীহার মহাপাত্র ধরা না পড়ায় ও ধৃতদের বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য ধারায় মামলা হওয়ায় ক্ষুব্ধ গোপালবাবুর পরিবার। তাঁর আর এক দাদা শিক্ষক চন্দন মাইতি বলেন, “পুলিশ চাপে পড়ে তিনজনকে গ্রেফতার করলেও মূল অভিযুক্ত অধরা। তাছাড়া ধৃতদের জামিন যোগ্য ধারা দেওয়ায় আবারও হামলার আশঙ্কা করছি।” এ দিকে এ দিন সকালে গোপালবাবুকে ফের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। হাসপাতালে ভর্তি গোপালবাবুর বক্তব্য, “বারবার তৃণমূলের লোকেরা বলছে আমরা বামেদের ভোট দিয়েছি। আমাকে বিদ্যুতের তার দিয়ে মারধর করেও ওঁরা শান্ত হয়নি। এখন হাসপাতালে এসে আমাকে ওঁরা দেখে নেবে বলে শাসিয়ে গিয়েছে। আমি আতঙ্কিত।’’

মন্ত্রী সৌমেনবাবুর অবশ্য বক্তব্য, “আমি যতটুকু জানি বন্ধুবান্ধবের মধ্যে তর্কবিতর্কের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। এখন তাতে রাজনীতির রং দেওয়া হচ্ছে। আমি পুলিশকে ব্যবস্থার নিতে বলেছি।’’ পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

TMC bail
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy