পাট্টার কাগজ তুলে দেওয়া হচ্ছে মেদিনীপুরে। নিজস্ব চিত্র।
মেদিনীপুর এবং খড়গপুরে দীর্ঘ দিন আটকে ছিল কিছু পাট্টা দেওয়ার কাজ। ভোটের মুখে শুক্রবার ২ শহরের ৫টি মৌজায় মোট ২৫টি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া পাট্টার কাগজপত্র। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলশাসকের অডিটোরিয়ামে এক অনুষ্ঠানে এই রায়তি স্বত্ত্বের কাগজ তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে ছিলেন জেলাশাসক রশ্মি কোমল, অতিরিক্ত জেলা শাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) তুষার সিংলা, খড়গপুর গ্রামীণের বিধায়ক দীনেন রায়।
এই পাট্টা বিলির বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে ছিল। সমস্যার সমাধানে উদ্যোগী হন দীনেন। বিধানসভায় বিষয়টি জানানোর পর ২০১৮ সালে মেদিনীপুরে প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজরে বিষয়টি এনেছিলেন তিনি। তার পর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে জেলা প্রশাসন কাজ শুরু করে।
রাজ্যের ভূমি ও ভূমি সংস্কার এবং উদ্বাস্তু ত্রাণ ও পুনর্বাসন দফতরের উদ্যোগে মেদিনীপুর শহরের কেরানিতলা, বারপাথর ক্যান্টনমেন্ট, কর্নেলগোলা, চাঁদিয়ানা বাজার এবং খড়গপুরের একটি মৌজার পাট্টা বিলি করা হল। রশ্মি জানিয়েছেন, এই ৫টি মৌজায় মোট ১০৯৮৩টি পরিবারের মধ্যে পাট্টা বিলির প্রক্রিয়া চলছে। কয়েকটি পরিবারের হাতে কিছু দিন আগে পাট্টার কাজপত্র তুলে দেওয়া হয়। শুক্রবার ২৫ জনের হাতে তুলে দেওয়া হল। বাকিদের হাতেও পাট্টার কাগজ তুলে দেওয়া হবে।
দীনেন বলেন, “দীর্ঘ দিন ধরে মানুষকে বহু সমস্যায় পড়তে হয়েছে। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে, মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় তার সমাধান সম্ভব হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীকে বলার পর ২০১৯ সালে প্রথম সমস্যার চূড়ান্ত সমাধানের চেষ্টা হয়। তার পর অনেক চেষ্টা করে কার্যত অসাধ্য সাধন করা সম্ভব হয়েছে।” রশ্মি জানিয়েছেন, আরও কিছু মানুষের নাম এই পাট্টার তালিকায় উঠবে। কিন্তু কিছু সমস্যার কারণে তাঁদের নাম ওঠেনি। কাগজপত্র খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy