প্রতীকী ছবি।
সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে বিধানসভা ভোটের জন্য এ বার বিপুল সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী আসতে পারে পশ্চিম মেদিনীপুরে। বাহিনীর সংখ্যাটা ২০০ কোম্পানিও হতে পারে! কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই বুথের নিরাপত্তা ব্যবস্থা মুড়ে ফেলা হতে পারে।
পুলিশের এক সূত্রে খবর— কোথায় কোথায় বাহিনীকে রাখা হবে, সে জন্য জেলার প্রায় ২০০টি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। ভোটের আগেই রুটমার্চের জন্য জেলায় পাঁচ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসার কথা। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যে চার কোম্পানি বাহিনী চলে এসেছে। কেশপুর, সবং, দাঁতন এবং মেদিনীপুরে এক কোম্পানি করে বাহিনী রয়েছে। শীঘ্রই আরও এক কোম্পানি বাহিনী আসবে। ওই বাহিনীকে গড়বেতায় পাঠানো হতে পারে। জেলার পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার মানছেন, ‘‘বিভিন্ন এলাকায় রুটমার্চ চলছে।’’
পশ্চিম মেদিনীপুরে দু’দফায় ভোট হবে। জেলার ১৫টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ছ’টি কেন্দ্রে ভোট ২৭ মার্চ। বাকি ন’টি কেন্দ্রে ভোট ১ এপ্রিল। প্রথম এবং দ্বিতীয় দফার ভোটের মনোনয়নপর্ব শুরু হচ্ছে যথাক্রমে ২ এবং ৫ মার্চ থেকে। জেলাশাসক তথা জেলা নির্বাচনী আধিকারিক রশ্মি কমল বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় বাহিনী রুটমার্চ এবং এলাকায় নজরদারি করছে।’’ প্রশাসন সূত্রে খবর, শীঘ্রই জেলাশাসক এবং জেলা পুলিশ সুপারও এলাকায় নজরদারিতে যাবেন। গত লোকসভা ভোটের সময় জেলায় ১৭৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছিল। এ বার নাকি ২০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসতে পারে? সদুত্তর এড়িয়ে জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘২০০ কোম্পানি বাহিনী যাতে এখানে এসে থাকতে পারে, সে জন্য যা বন্দোবস্ত করার পুলিশ করছে।’’
সাধারণত, এক কোম্পানি বাহিনীতে প্রায় ১০০ জন জওয়ান থাকেন এবং প্রতি সেকশনে আট জন করে জওয়ান থাকেন। জেলায় বুথ ছিল ৪,২৯০টি। করোনা পরিস্থিতিতে আরও ১,১০৮টি সহায়ক-বুথ হচ্ছে। অর্থাৎ, মোট বুথ থাকছে ৫,৩৯৮টি। এর মধ্যে শহর এলাকায় বুথ রয়েছে ৬৮৫টি। গ্রামীণ এলাকায় বুথ রয়েছে ৪,৭১৩টি। প্রতি বুথে কমপক্ষে চারজন করে জওয়ান অর্থাৎ হাফ-সেকশন বাহিনী থাকলে ২১,৫৯২ জন জওয়ান প্রয়োজন। অর্থাৎ, ২১৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন। অনেকগুলি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে একাধিক বুথ রয়েছে। জানা যাচ্ছে, ওই ৫,৩৯৮টি বুথ রয়েছে ৩,৫৬০টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে। সে ক্ষেত্রে প্রতি কেন্দ্রে এক সেকশন অর্থাৎ আটজন জওয়ান থাকলে ২৮,৪৮০ জওয়ান প্রয়োজন। অর্থাৎ, ২৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন। ওই ৩,৫৬০টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের মধ্যে শহর এলাকায় রয়েছে ২৭৬টি। গ্রামীণ এলাকায় রয়েছে ৩,২৮৪টি
বিজেপির মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শমিত দাশ এবং ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অন্তরা ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আমরা চাই, ১০০ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকুক।’’ তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় বাহিনী আসা নিয়ে আমাদের দুশ্চিন্তার কিছু নেই।’’ সিপিএমের জেলা সম্পাদক তরুণ রায়, কংগ্রেসের জেলা সভাপতি সমীর রায় প্রমুখও কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় সুষ্ঠু ভোটের দাবি জানিয়েছেন। জেলাশাসক তথা জেলা নির্বাচনী আধিকারিক রশ্মি কমলের আশ্বাস, ‘‘ভোট যাতে সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হয়, সে জন্য যে সব পদক্ষেপ করার, সে সবই করা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy