মোবাইলটা নাগাড়ে বেজে চলেছে। কাজের সময় খানিকটা বিরক্ত হয়েই ফোনটা ধরলেন মেদিনীপুর সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ডের পান দোকানি রামপদ শীট। ফোনটা শেষ হতেই চোখে-মুখে বিস্ময় নিয়ে রামপদবাবু বলেন, “দিদি, আমার নম্বর পেল কী ভাবে?” কোন দিদি? “আমাদের দিদি গো, মমতাদি, ফোন করেছিল।”
দেওয়াল লিখন থেকে ফেস্টুন, ব্যানার-জোরকদমে প্রচার চালাচ্ছে সব দলই। সেই প্রচারেরই অঙ্গ এই ফোন। সরাসরি মোবাইলে ফোন করে এভাবেই ভোট দেওয়ার আবেদন জানাচ্ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। যেরকম ফোন এল রামপদর কাছে। আগে দলীয় প্রতীক এসএমএস করা হত, দলের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানিয়ে এসএমএস করা হত, এখন সরাসরি ভয়েস রেকর্ড শোনানো হচ্ছে। কখনও ফোনে ভেসে উঠছে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কণ্ঠস্বর, কখনও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের।
এভাবেই অতি ক্ষুদ্র পরিসরে যে যার নিজের দলের আদর্শের ও উন্নয়নের কথা বলে দলীয় প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার আবেদন জানাচ্ছেন। পড়াশোনা জানা শহুরে শিক্ষিত মানুষের কাছে এটা নিতান্তই আর পাঁচটা বিজ্ঞাপনের মতো ঠেকলেও গ্রামের মানুষের কাছে এর প্রভাবও পড়ছে ভালই। রাজনৈতিক নেতাদের মতে, এই ধরনের প্রচার খুব কাজে লাগে, যাঁরা কোনও দলের সমর্থক নন। কাকে ভোট দেবেন সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে উঠতে পারেননি। আর সেই দোটানা মানুষের ভোটই নিজের ঝুলিতে পুরতে মোবাইলকে হাতিয়ার করছে সব দলই।
এ নিয়ে রসিকতাও চলছে পুরোদমে। কট্টর তৃণমূল সমর্থক ঘুম থেকে উঠে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের গলা শুনে বলছেন, ‘‘আহ্ আজকের দিনটা গেল।” বলে কটাক্ষ করছেন। একই ভাবে কট্টর বামপন্থী সমর্থকের কাছে তৃণমূল নেত্রীর ভয়েস রেকর্ড গেলে শোনা যাচ্ছে কটাক্ষ। তবে মোটের উপর ভয়েস রেকর্ডে এই প্রচার বেশ সাড়া ফেলেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy