আসন্ন পুরভোটে রেলশহরের আসন সংরক্ষণের খসড়া তালিকা নিয়ে নানা অভিযোগ জানিয়েছিলেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাউন্সিলর, নেতারা। তার ২২ দিনের মাথায় সংরক্ষণের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হল। তাতে শুধু একটি ওয়ার্ডের বদল করা হয়েছে। ফলে দিনের শেষে খড়্গপুরের এক ডজন কাউন্সিলরের নিজের ওয়ার্ড থেকে দাঁড়াতে না পারার আশঙ্কাই এ বার সত্যি হল।
মঙ্গলবার খড়্গপুর পুরসভার আসন সংরক্ষণের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হয়। তাতে দেখা যাচ্ছে, খসড়া সংরক্ষণের সব ওয়ার্ডের সংরক্ষণ একই থাকলেও চূড়ান্ত তালিকায় বদল এসেছে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের আসন সংরক্ষণে। ওয়ার্ডটি খসড়ায় তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষণ করা হলেও চূড়ান্ত তালিকায় সেটিকে তফসিলি জাতির মহিলা সংরক্ষিত বলে দেখানো হয়েছে। খড়্গপুরের মহকুমাশাসক সঞ্জয় ভট্টাচার্য বলেন, “সব অভিযোগ খতিয়ে দেখে সংরক্ষণের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। চূড়ান্ত তালিকায় শুধুমাত্র ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের আসন সংরক্ষণে পরিবর্তন করা হয়েছে। ওই ওয়ার্ডটি তফসিলি মহিলা সংরক্ষিত হয়েছে। এর পর আর কোনও রদবদল হবে না।”
এর ফলে কোনও কাউন্সিলরের ভোটে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে আগের সমীকরণে বদল হচ্ছে না। গত ২ ফেব্রুয়ারি যে খসড়া তালিকা প্রকাশ হয়েছিল তাতে দেখা যায় ২, ৫, ৮, ৩৩, ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের জয়ী কাউন্সিল এবং ১১, ১৫, ২০, ২৩, ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলেরা নিজের ওয়ার্ড থেকে দাঁড়াতে পারছেন না। একই অবস্থা ১২ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলর ও ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলরের।
খসড়া তালিকা প্রকাশের পরই ১১ নম্বরের কংগ্রেস কাউন্সিলর পারমিতা ঘোষ, ১৫ নম্বরের বি মুরলিধর রাও ও ২৭ নম্বরের তপন বসু, ১২ নম্বরের সিপিএম কাউন্সিলর অনিতবরণ মণ্ডল মহকুমাশাসকের কাছে সংরক্ষণের বিষয়টি খতিয়ে দেখার লিখিত আবেদন জানান। ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড নিয়েও অভিযোগ ওঠে। এই ওয়ার্ডটিতে তৃণমূলের প্রাক্তন পুরপ্রধান জহরলাল পালের বৌমা জয়া পাল কাউন্সিলর হিসেবে রয়েছেন। এ দিনের চূড়ান্ত তালিকায় ওই ওয়ার্ডের সংরক্ষণে বদল হলেও বিশেষ লাভ হচ্ছে না তাঁর। এ দিন জহরলাল পাল বলেন, “বৌমা পুরনো ওয়ার্ড থেকে দাঁড়াতে পারছে না।” একই সঙ্গে তিনি জানান, ২৭ নম্বর ওয়ার্ড নিয়েও অভিযোগ করা হয়েছিল। কেননা, ওই ওয়ার্ডে ৫ শতাংশের কম তফসিলি উপজাতি থাকা সত্ত্বেও আসনটি ওই জনজাতির জন্য সংরক্ষিত করা হয়েছে। তবে কংগ্রেসের রবিশঙ্কর পাণ্ডে বলেন, “দলের কোনও কাউন্সিলর সংরক্ষণ নিয়ে ব্যক্তিগত ভাবে অভিযোগ জানিয়েছিল ঠিকই। তবে আমার মনে হয় সঠিক পদ্ধতি মেনেই সংরক্ষণ হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy