এ বারও উচ্চ মাধ্যমিকের ‘স্পর্শকাতর’ কেন্দ্র চিহ্নিত করবে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। সেখানে থাকবে গোপন ক্যামেরা। জেলা থেকে কেন্দ্রের তালিকা চাওয়া হয়েছে। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে শুরুতে জেলাই ওই তালিকা তৈরি করবে। পরে তা রাজ্যে পাঠিয়ে দেবে। তারপর রাজ্যস্তরে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ঠিক কোন কোন কেন্দ্রের বিশেষ নজরদারি প্রয়োজন, তা পুলিশ-প্রশাসনকে জানিয়ে দেওয়া হবে। সঙ্গে ‘স্পর্শকাতর’ কেন্দ্রের তালিকাও পাঠানো হবে। শুক্রবার মেদিনীপুরে এসে এ কথা জানান উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মহুয়া দাস।
টোকাটুকি রুখতে সংসদ সব রকম পদক্ষেপ করছে বলে জানান তিনি। মহুয়াদেবীর কথায়, “আগের বার প্রচুর টোকাটুকি হয়েছে বলে আমাদের কাছে কোনও রিপোর্ট আসেনি। হয়তো অল্পবিস্তর হয়ে থাকতে পারে। আগের বার পরীক্ষা খুব সফল ভাবেই হয়েছে। আশা করি, এ বারও সফল ভাবেই হবে।” তিনি বলেন, “পরীক্ষার সময় টোকাটুকির একটা সম্ভাবনা থাকে। তবে তা রুখতে বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা থাকবে। বিশেষ নজরদারির জন্য কিছু কেন্দ্র চিহ্ণিত করা হবে। ওই সব কেন্দ্রে ক্যামেরা থাকবে। জেলা থেকেই সংবেদনশীল কেন্দ্রের তালিকা আমাদের কাছে পাঠানো হবে।” সংসদ কর্তৃপক্ষ মনে করছেন, গোপন ক্যামেরা থাকার ফলে পরীক্ষার্থীরা নকল করলে তা ক্যামেরায় ধরা পড়ে যাবে। তখন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করাও সম্ভব হবে। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে শুক্রবার মেদিনীপুরে আসেন সংসদ সভাপতি। দুই মেদিনীপুর জেলা নিয়ে শহরের বিদ্যাসাগর হলে এক বৈঠক করেন। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্র পরিদর্শকেরা। এ বার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে ১৩ মার্চ থেকে। চলবে ৩১ মার্চ পর্যন্ত। একই সময় একাদশ শ্রেণীর পরীক্ষাও হবে। একাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা শুরু হবে ১২ মার্চ থেকে।
এ দিন মেদিনীপুরে এসে পুলিশ- প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন মহুয়াদেবী। তাঁর কথায়, “প্রশাসনিকস্তরে যে ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়, সেই নিয়ে আধিকারিকদের সঙ্গে একটা আলোচনা হয়েছে। পুলিশি প্রহরা কেমন থাকবে, পরিবহণ ব্যবস্থা কেমন থাকবে, এ সব নিয়েই আলোচনা হয়।” পরীক্ষার সময় নকল বা টোকাটুকি করার অভিযোগ নতুন নয়। প্রতি বছরই এমন অভিযোগ ওঠে। কিছু ক্ষেত্রে আবার বাইরে থেকে নকল সরবরাহ করা হয়। নিরাপত্তার ফাঁক গলে কেউ কেউ পরীক্ষার্থীদের নকল সরবরাহ করে। এমন অনভিপ্রেত পরিস্থিতি এড়াতে এ বার তত্পর হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। জানা গিয়েছে, সংসদ সভাপতি এদিন বৈঠকেও বার্তা দিয়েছেন যে পরীক্ষার্থীদের বোঝাতে হবে তারা যেন নকল না করে। পরীক্ষার্থীদের এ কথা বোঝানোর জন্য শিক্ষক- শিক্ষিকাদেরও এগিয়ে আসতে হবে। মহুয়াদেবী বলেন, “এ বার অতিরিক্ত সতর্কতা, অতিরিক্ত প্রহরা, অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী থাকবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy