Advertisement
১৯ নভেম্বর ২০২৪

জল নেই, হাঁড়ি চড়ল না স্কুলে

বর্তমানে এই স্কুলে ছাত্রছাত্রী সংখ্যা ১২৮৪ জন। সর্বশিক্ষা মিশনের নিয়ম অনুযায়ী, স্কুলের পঞ্চম-অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ৫৯১ জন পড়ুয়াকে রোজ মিড-ডে মিল দেওয়া হয়। জল না থাকায় স্কুলে রান্না করতে এসেও এ দিন ফিরে যান স্ব-সহায়ক দলের সদস্যরা। স্কুলের প্রধান শিক্ষক কালিদাস পণ্ডা জানান, এলাকায় জলের স্তর নেমে যাওয়ায় দিন পনেরো ধরে স্কুলের পাম্পটি অচল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কাঁথি শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০১৫ ০০:৩৮
Share: Save:

অচল স্কুলের টিউবওয়েল। খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে একমাত্র সাব মার্সিবল পাম্পও। এক কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে নেই কোনও পানীয় জলের টিউবওয়েল। জল না থাকায় তাই সোমবার দুপুরে বন্ধ করে দেওয়া হল স্কুলের মিড-ডে মিলের রান্না। ফলে না খেয়েই ফিরতে হল খেজুরি-১ ব্লকের অজয়া অন্নদা বিদ্যামন্দির উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের প্রায় পাঁচশো ছাত্রছাত্রীকে। মিড-ডে মিল বন্ধ থাকায় টিফিনেই স্কুল ছুটি হয়ে যায়।

বর্তমানে এই স্কুলে ছাত্রছাত্রী সংখ্যা ১২৮৪ জন। সর্বশিক্ষা মিশনের নিয়ম অনুযায়ী, স্কুলের পঞ্চম-অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ৫৯১ জন পড়ুয়াকে রোজ মিড-ডে মিল দেওয়া হয়। জল না থাকায় স্কুলে রান্না করতে এসেও এ দিন ফিরে যান স্ব-সহায়ক দলের সদস্যরা। স্কুলের প্রধান শিক্ষক কালিদাস পণ্ডা জানান, এলাকায় জলের স্তর নেমে যাওয়ায় দিন পনেরো ধরে স্কুলের পাম্পটি অচল। স্কুলের পক্ষ থেকে পাম্প সারানোর কথা খেজুরি-১ ব্লক ও জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়। তারপরেও পাম্প ঠিক হয়নি। স্কুলের একটি টিউবওয়েলের জল দিয়ে মিড-ডে মিল থেকে শুরু করে হস্টেলের রান্না, পড়ুয়া, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পানীয় জলের সংস্থান হত। সোমবার স্কুলে এসে দেখা যায়, ওই টিউবওয়েলটিও খারাপ হয়ে গিয়েছে। স্কুলের এক কিলোমিটারের মধ্যে বীরবন্দর অঞ্চলে পানীয় জলের কোনও টিউবওয়েলও নেই। জলের অভাবে মিড-ডে মিল-সহ হস্টেলের রান্না করা সম্ভব হয়নি। সোমবারের মিড-ডে মিল বন্ধ থাকার কথা ব্লক প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ মামুদ হোসেন জানান, খেজুরির ওই স্কুলে জল সঙ্কটের বিষয়টি তিনি এ দিনই জানতে পেরেছেন। মামুদ হোসেনের বক্তব্য, “জেলা জুড়েই পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দিয়েছে, এই বিষয়টি উদ্বেগজনক। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে পানীয় জলের অভাব দূর করতে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।” খেজুরি-১ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি বিমান নায়ক জানান, শুধু বীরবন্দর অঞ্চল নয়, সমগ্র খেজুরি-১ ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় গরম পড়তে না পড়তেই জলের স্তর দ্রুত নেমে যাচ্ছে। ফলে পানীয় জল ছাড়া সেচের জল নিয়েও তীব্র সমস্যা দেখা দিয়েছে। চাষের কাজের জন্য যারা স্যালো বসিয়েছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে সাহায্য করার কথা সেই সমস্ত চাষিদের বলা হয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

school water kanthi
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy