বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী ও শিক্ষিকাদের আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ। —নিজস্ব চিত্র।
শুধু নারী শিক্ষা নয়, নারীর সামাজিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় দীর্ঘ লড়াই করেছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। এবার তাঁরই নামাঙ্কিত বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখানো হচ্ছে মেয়েদের আত্মরক্ষার কৌশল হিসেবে শেখানো হচ্ছে ক্যারাটে। সোমবার থেকে শুরু হল এই প্রশিক্ষণ পর্ব। প্রথম দফায় সাত দিন প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এই প্রশিক্ষণ শিবিরে ছাত্রীদের পাশাপাশি যোগ দিয়েছেন শিক্ষিকারাও। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তীর কথায়, “যদি এই উদ্যোগ সফল হয়, তাহলে আবারও এমন শিবির হবে। যেখানে দফায় দফায় বিভিন্ন ছাত্রী, শিক্ষিকা থেকে শিক্ষাকর্মী সকলেই সুযোগ পাবেন।”
বর্তমানে নারী নির্যাতনের ঘটনা বেড়েই চলছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, অভিভাবকরা মেয়েকে স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়ে নিশ্চিন্তে থাকতে পারছেন না। দুশ্চিন্তা তাড়া করে বেড়াচ্ছে মহিলাদেরও। এই পরিস্থিতিতে আত্মরক্ষার পথ হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে ক্যারাটে। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মতে, শরীর চর্চা একটা বড় পথ। যেখানে নিজেকে বাঁচানো যেমন যাবে, তেমনই প্রয়োজনে কিল ঘুষিও মেরে বিপক্ষকে কাবু করা যাবে। এছাড়াও এতে মানসিক জোরও বাড়বে। ছাত্রীদের সঙ্গে ক্যারাটে প্রশিক্ষণ নিতে আসা জুওলজি বিভাগের শিক্ষিকা প্রিয়াঙ্কা হালদারের কথায়, “আত্মরক্ষা নিশ্চয় বড় কথা। তবে শরীর চর্চার মূল্য তো কম নয়। আর ছাত্রীদের সঙ্গে এতে যোগ দিলে করলে সম্পর্কের বাঁধনও দৃঢ় হয়।” আর কলেজ পড়ুয়া ইলা দাস, অনিন্দিতা দাস, প্রীতি কুমারীদের কথায়, “রাস্তায় বেরোলে মেয়েদের নানা ধরনের সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। সেক্ষেত্রে এই প্রশিক্ষণ আমাদের অনেক সাহায্য করবে বলেই মনে করি।”
কিন্তু মাত্র ৭ দিনে কী আর প্রশিক্ষণ দেওয়া বা নেওয়া সম্ভব, যা দিয়ে আত্মরক্ষা করা যায়?
প্রশিক্ষক সোমনাথ দে-র কথায়, “এটা ঠিকই। তবু যেটুকু শেখা যাবে তা নিয়মিত বাড়িতে অভ্যেস করলে অনেকটাই উপকৃত হবেন।” বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও অবশ্য জানেন, সাতদিনটা নিতান্তই কম। কর্তৃপক্ষের কথায়, সাতদিনেই বোঝা যাবে ছাত্রী-শিক্ষিকা ও কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ রয়েছে কিনা। তাই প্রশিক্ষণের আগে এর উপকারিতা বোঝাতে একটি আলোচনা সভারও আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে ছাত্রী-শিক্ষিকা ও কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সেখান থেকেই উৎসাহ পেয়ে প্রথম দিনে ৫০ জন যোগ দিয়েছেন। রেজিস্ট্রার জয়ন্তকিশোর নন্দীর কথায়, “উৎসাহ বাড়লেই আমরাও প্রশিক্ষণের মেয়াদ বাড়াব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy