এই বিজ্ঞপ্তি ঘিরেই বিতর্ক। ছবি: কৌশিক মিশ্র।
দল তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে। কিন্তু নিজেকে সেই একই পদাধিকারী বলে উল্লেখ করে বুধবার এগরা বিজ্ঞাপন দিলেন স্থানীয় বিজেপি নেতা নির্মলকান্ত মিশ্র। তাঁর দাবি, নতুন কোনও নেতা নয়, এগরা নগরমণ্ডলের প্রকৃত সভাপতি তিনিই। তবে দলের নেতৃত্ব এমন দাবি মানতে নারাজ।
স্থানীয় একটি পত্রিকায় নির্মলবাবুর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছেন, তিনিই এগরা নগরমণ্ডলের প্রকৃত সভাপতি। এগরাতে বর্তমানে যারা নিজেদের বিজেপি নেতা বলে দাবি করছে তারা অশিক্ষিত, ভবঘুরে। তাদের দলীয় সদস্যপদ নেই। ভারতবর্ষে একক বিজেপি সরকার গঠনে ও এ রাজ্যে দলের উত্থানে নিজেদের গা মেশাতেই এমন কাজ করতে তারা। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০১ সাল থেকে নির্মলবাবু বিজেপির কর্মী হিসেবে কাজ করছেন। ২০১১ সালে তৎকালীন জেলা বিজেপি সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় পাণিগ্রাহী তাঁকে এগরা নগরমণ্ডলের সভাপতি নিয়োগ করেন। নিমর্লবাবুর দাবি, তার পর থেকে সেই পদের কোনও পরিবর্তন হয়নি।
তবে বর্তমান জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যা ও এগরা বিধানসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপি নেত্রী মিনতি শূর বলেন, “নির্মলবাবু আগে এগরা নগরমণ্ডলের দায়িত্বে ছিলেন। কিন্তু তিনি বেশিরভাগ সময় নেশা করে থাকেন। দলীয় ভাবে তাঁকে বারবার সতর্ক করা হলেও কোনও পরিবর্তন না হওয়ায় দল তাঁকে সরিয়ে দিয়েছে।” তিনি আরও জানান, লোকসভা নির্বাচনের আগে এগরায় সংগঠন জোরদার করতে বিজেপির তরফ থেকে একটি কমিটি গঠনের জন্য একটি করা হয়েছিল। সেই সময় এগরা নগরমণ্ডলের সভাপতি হিসেবে নির্মলবাবুকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু নির্মলবাবু সেই বৈঠকে হাজির হননি। এরপরই দলের তরফে শীর্ষেন্দু দাস ও অশোক প্রধান নামে স্থানীয় দুই বিজেপি কর্মীকে এগরা নগরমণ্ডলের যুগ্ম সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। নির্মলবাবু বলেন, “ওই বৈঠকে আমি হাজির ছিলাম না ঠিকই। তবে নগরমণ্ডলের যুগ্ম সভাপতি হিসেবে নতুন কাউকে নিয়োগ করা হয়েছে বলে আমাকে জানানো হয়নি।”
সারা দেশে মোদি-ঝড়ের উপর ভিত্তি করে একক দল হিসেবে দিল্লিতে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই রাজ্যেও এক লাফে অনেকটাই ভোট বাড়িয়ে নিয়েছে তারা। এমনকী নেতৃত্বহীন এগরা পুরসভার কয়েকটি ওয়ার্ডে তারা উঠে এসেছে দুই নম্বরে। ভোট পরবর্তী সময় দফায় দফায় এগরা বিধানসভা এলাকায় শুরু হয়েছে বিভিন্ন দল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার হিড়িক। এই সময়ে নির্মলবাবুর এমন কাণ্ডে হতবাক বিজেপির পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সভাপতি তপন করও। তিনি বলেন, “এমন ঘটনা কখনওই কাঙ্ক্ষিত নয়। রাজ্যে বিজেপির সদ্য উত্থানের সময় এমন ব্যবহারে সমস্যায় পড়বে দলই। আমরা দলীয় ভাবে নির্মলবাবুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy