আবারও মেট্রোর লাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা। সোমবার সন্ধ্যায় এসপ্ল্যানেড স্টেশনে ঘটনাটি ঘটে। তার জেরে ব্লু লাইন (দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ)-এ বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে মেট্রো পরিষেবা। মেট্রো রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়দান থেকে সেন্ট্রাল পর্যন্ত পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়। পরে রাত ৯টা নাগাদ সম্পূর্ণ পথে মেট্রো চলাচল শুরু হয়।
মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, সোমবার সন্ধ্যা ৭টা ৫৬ মিনিট নাগাদ এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশনে এক ব্যক্তি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এর পরেই ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করতে বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় তৃতীয় লাইনে। ময়দান থেকে কবি সুভাষ এবং সেন্ট্রাল থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত পরিষেবা চালানো হয়। সম্পূর্ণ পথে মেট্রো না-চলায় যাত্রীদের ভিড় বাড়তে থাকে। অফিসফেরত যাত্রীরা সমস্যায় পড়েন। অনেকেই মেট্রো ছেড়ে সড়কপথে গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এর পর রাত ৮টা ৫৫ মিনিট নাগাদ সম্পূর্ণ পথে মেট্রো চলাচল শুরু হয়। তবে রাত পর্যন্ত পরিষেবা স্বাভাবিক হয়নি।
গত মাসেই কবি নজরুল স্টেশনে লাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন এক ব্যক্তি। পরে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি। তার আগেও একাধিক বার মেট্রোর সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। যাত্রীদের প্রশ্ন, কেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে উপযুক্ত পদক্ষেপ করছেন না?
আরও পড়ুন:
সম্প্রতি লাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনা রুখতে কালীঘাট স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে পাকাপোক্ত ভাবে কিছু গার্ডরেল বসিয়েছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। কিন্তু নিত্যযাত্রীদের একাংশের বক্তব্য, দু’টি গার্ডরেলের মধ্যে যা ব্যবধান, তাতে কর্তৃপক্ষের আসল উদ্দেশ্য সফল হওয়ার সম্ভাবনা কম। এ ছাড়াও শুধুমাত্র কালীঘাট স্টেশনে একটি দিকে গার্ডরেল বসিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনা আটকানোর পরিকল্পনা অবাস্তব বলেও প্রশ্ন তোলেন যাত্রীদের একাংশ।