খুশির ইদে শান্তির বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যাপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
খুশির ইদে শান্তির বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যাপাধ্যায়। শনিবার সকালে রেড রোডে ইদ উপলক্ষে হওয়া এক অনুষ্ঠানে অংশ নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অনুষ্ঠানে মমতা বলেন, ‘‘সকলে শান্তিতে থাকুন। কারও প্ররোচনায় পা দেবেন না। বাংলায় যাতে অশান্তি হয়, তার চেষ্টা করছে বিজেপি সরকার। কোনও ভাবে বাংলায় অশান্তি বরদাস্ত করব না।’’
দেশের সংবিধান এবং ইতিহাস বদলানোর অভিযোগ এনেও কেন্দ্রের সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন মমতা। তাঁর কথায়, ‘‘লোকতন্ত্র চলে গেলে সব চলে যায়। আজ দেশের সংবিধান এবং ইতিহাস বদলে যাচ্ছে। যা খুশি করছে। তার পর এনআরসি আনার কথা বলেছে। কিন্তু আমি ও সব কিছু হতে দেব না। প্রাণ থাকতে দেশ ভাগ হতে দেব না। মাথাও ঝোঁকাব না। ভরসা রাখুন। আমরা লড়াই করব, ভয় পাব না।’’
সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে তিনি আরও জানান, কেউ বা কারা যদি মনে করেন মুসলিম ভোট ভেঙে দেবেন, তা সম্ভব নয়। পাশাপাশি, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রে ক্ষমতা বদল করতে সকলকে ভোট দেওয়ার আর্জিও জানান তিনি।
সুর চড়িয়ে বলেন, ‘‘বিজেপি বিভেদের রাজনীতি করে। আর এক বছর পর লোকসভা নির্বাচন। ঠিক হয়ে যাবে সরকারে কে থাকবে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে সবাই এসে ভোট দেবেন।’’
একই সঙ্গে রেড রোডের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে সকলকে এক জোট হওয়ার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলে রাখলেন, সকলে এক জোট হলে কেন্দ্রের গদি উল্টে যেতে পারে। তাঁর কথায়, ‘‘তাঁরাই মানুষ, যাঁরা মানবিক। যাঁরা সবাইকে নিয়ে চলেন, তাঁরাই দেশের নেতা। এ রকম ভাঙচুর করে দেশের নেতা হওয়া যায় না। আমি প্রার্থনা করব যেন এই দাদাগিরি আটকে দেওয়া হয়। আমরা একসঙ্গে হলে চেয়ার নড়ে যাবে।’’
কেন্দ্রের তরফে তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে অপব্যবহারের অভিযোগও আবার উঠে আসে মমতার মুখে। তবে তিনি যে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত তা-ও তিনি স্পষ্ট করে দেন। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের তো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির সঙ্গেও লড়তে হচ্ছে। আমাদের জ্বালাচ্ছে। আরও জ্বালাবে। তবে আমরা লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত।’’
একই মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর মতো সম্প্রীতির বার্তা দেন অভিষেকও। যাঁরা দেশ ভাগ করতে চাইছে, তাঁদের পরিণতি ভাল হবে না বলে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে তোপও দাগেন। তিনি বলেন, ‘‘যারা দেশ ভাগ করতে চাইছে, তাদের পরিণতি কী হবে, তা আগামী দিনে স্পষ্ট হয় যাবে। ধর্মের নামে ভেদাভেদ তৈরির চেষ্টা করছে অনেকে। প্ররোচনায় পা দেবেন না। যে চাঁদ দেখে ইদ পালন করা হয়, তার কি কোনও ধর্ম আছে? হিন্দুদের পরবও তো চাঁদ দেখে হয়। শরীরে যে রক্ত বইছে, তারও কোনও ধর্ম হয় না। বাংলায় ধর্মের নামে কোনও ভেদাভেদ নেই। আর সেই জন্যই বাংলা বাকি সব রাজ্যের থেকে আলাদা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy