প্রতীকী ছবি।
নতুন নাগরিকত্ব আইনের প্রেক্ষিতে নিজেদের নথির দাবি জানাতে জেলাশাসকের দফতরে গিয়েছিলেন উত্তর দিনাজপুরের একটি সংগঠনের সদস্যরা। দুপুরের মধ্যে তাঁদের বিক্ষোভ এবং স্মারকলিপি দেওয়া হয়ে যায়। তার পরে বাড়ি ফিরছিলেন তাঁরা। বেশির ভাগের বাড়ি ইটাহারে। ফেরার পথে দুষ্কৃতী হামলার মুখে পড়েন ওই সংগঠনের তিন সদস্য-সহ ৬ জন। এই ঘটনার জেরে জাতীয় সড়কে কয়েকটি জায়গায় পথ অবরোধ হয়। বেসরকারি বাস ও অ্যাম্বুল্যান্সেও ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। আশঙ্কায় অ্যাম্বুল্যান্স চালানো বন্ধ করে দেন চালকেরা।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার দুপুর ১টা নাগাদ রায়গঞ্জে উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসকের কাছে কয়েকটি দাবিতে স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি ছিল একটি সংগঠনের। স্মারকলিপিতে তাঁদের ভূমিপুত্রের স্বীকৃতি, সংরক্ষিত ১৯৭১ সালের আগের জমির নথি বিএলএলআরও অফিসে পাঠানো, ওই সময়ের আগে ভোটার তালিকায় থাকা নাম পঞ্চায়েতে পাঠানোর দাবি জানানো হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই কর্মসূচিতে যোগ দেন কয়েক হাজার মানুষ। অনেকেই এসেছিলেন ইটাহার থেকে। সংগঠনের অভিযোগ, কর্মসূচির শেষে বিকেল ৩টে নাগাদ তাঁরা ফেরার পথ ধরলে রায়গঞ্জের পূর্ব কলেজপাড়ায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে একটি অটো লক্ষ করে বোমা ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। তার পরে সেই অটোর এবং পিছনের অন্য গাড়ির যাত্রীদের উপরে চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। পুলিশ সূত্রের খবর, অস্ত্রের ঘায়ে জখম হন বামনগ্রামের বাসিন্দা এক সিভিক ও তাঁর পড়শি। পালাতে গিয়ে রাস্তায় পড়ে যান টোটোর যাত্রী এক বৃদ্ধাও।
আরও পড়ুন: এখনও বেহাল ট্রেন, রেলকেই দুষছেন মমতা
পুলিশ জানায়, এর পরে ঘটনাস্থলে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে সংগঠনের সদস্যরা। তাদের বোঝাতে ঘটনাস্থলে যান রায়গঞ্জের পুরপ্রধান, ব্লক তৃণমূল সভাপতিরা। তখন অবরোধ ওঠে। পুলিশ জানিয়েছে, কিন্তু রায়গঞ্জের কসবায়, ইটাহারের দুর্গাপুরে ফের অবরোধ শুরু হয়। অভিযোগ, কসবায় দু’টি বেসরকারি বাস ও একটি অ্যাম্বুল্যান্সে ভাঙচুর করা হয়। এর পরে রায়গঞ্জ মেডিক্যালের অ্যাম্বুল্যান্স চালকেরা গাড়ি চালানো বন্ধ করে দেন।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সভাপতি বলেন, ‘‘কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন। তাই বিজেপির মদতে দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছে।’’ জেলা তৃণমূল সভাপতি এই অভিযোগের সঙ্গে সহমত পোষণ করলেও জেলা বিজেপি সভাপতি তা অস্বীকার করেন। রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার সুপার সুমিত কুমার বলেন, ‘‘যারা ওই ঘটনায় জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy