—প্রতীকী ছবি।
বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ারুল আজিমের মাংস কুচি-কুচি করার জন্য অভিযুক্তেরা কিমা করার যন্ত্র ব্যবহার করেছিল বলে সিআইডি সূত্রে দাবি করা হল। তদন্তকারীদের একাংশ জানিয়েছেন, এই ঘটনায় ধৃত সিয়াম হোসেন কলকাতার নিউ মার্কেটের একটি দোকান থেকে ২২০০ টাকা দিয়ে ওই যন্ত্র কিনেছিল। প্রমাণ লোপাটের জন্যই ওই কিমা করার যন্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল বলে ওই সূত্রের দাবি। সিআইডির একাংশ এ-ও দাবি করেছে যে ওই যন্ত্রে পুরো মাংস কিমা করা যায়নি। তাই ছোট ছোট খণ্ড করেও তা ফেলা হয়েছিল নিউ টাউনের ওই আবাসনের সেপটিক ট্যাঙ্কে। সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে প্রায় পাঁচ কিলোগ্রাম মাংসখণ্ড উদ্ধারও করেছে সিআইডি। সেগুলি মানুষের কি না, তা জানতে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
গত ১২ মে কলকাতায় এসেছিলেন আজিম। ১৩ মে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার কথা বলে বেরিয়ে নিখোঁজ হন। পরে পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, নিউ টাউনের ওই আবাসনে খুন হয়েছেন তিনি। সিআইডি তদন্তে নেমে প্রথমে বাংলাদেশের নাগরিক কসাই জিহাদ হাওলাদারকে গ্রেফতার করে। পরে গ্রেফতার করা হয় সিয়ামকে। রাজ্য পুলিশের তথ্য ওপর নির্ভার করে বাংলাদেশের ঢাকা পুলিশ আমানুল্লা ওরফে শিমুল ভূঁইয়া, শিলাস্তি রহমান-সহ চার জনকে গ্রেফতার করে। তবে ওই ঘটনার মূল চক্রান্তকারী এবং সাংসদের বাল্য বন্ধু আখতারুজ্জামান শাহিন, ফয়জল এবং মুস্তাফিজুর পলাতক।
সিআইডি সূত্রের খবর, খুনের পর বাংলাদেশি সাংসদের দেহের ছবি তুলে তা বাংলাদেশের কয়েক জনকে পাঠিয়েছিল আমানুল্লা। মৃতদেহ যাতে কেউ খুঁজে না পায় তার জন্য কিমা এবং খণ্ড করা মাংস সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দেওয়ার পর হাড়গুলি ফেলা হয়েছিল ভাঙড়ের কৃষ্ণমাটির বাগজোলা খালে। তদন্ত চালাতে গিয়ে সিয়ামকে সঙ্গে নিয়ে সিআইডি ওই স্থান থেকে কুড়িটি মানুষের হাড় উদ্ধার করেছে। সেগুলিও ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছেন তদন্তকারীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy