নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের সভা থেকে তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভুয়ো ভোটার ধরতে কমিটি গঠন করেছেন। বৃহস্পতিবার সেই নির্দেশ পাওয়ার পরেই শুক্রবার জেলায় জেলায় ভুয়ো ভোটার ধরতে একের পর এক বৈঠক শুরু করেছেন জেলার নেতারা। আর সেই কাজে সবার আগে ময়দানে নামলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। কলকাতা পুরসভার ৮২ নম্বর ওয়ার্ডের চেতলা এলাকায় বাড়িতে বাড়িতে ভোটার তালিকা নিয়ে গিয়ে ভোটারদের নামধাম সম্পর্কে খোঁজখবর নেন তিনি।
মেয়রের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রীর বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুরে ভুয়ো ভোটার রয়েছে কি না, তা জানতেই উদ্যোগী হয়েছেন মেয়র। ভোটার তালিকায় মৃত কারও নাম রয়েছে কি না, সে সংক্রান্ত তথ্যও খতিয়ে দেখা হয়েছে। ৮২ নম্বর ওয়ার্ড-সহ ভবানীপুরের বাকি সাতটি ওয়ার্ডের তথ্য হাতে পেলে তা জানানো হবে নির্বাচন কমিশনে। তবে যে হেতু বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর বিধানসভা কেন্দ্রের, তাই সব ওয়ার্ডে আরও এক বার পরীক্ষার কাজ (স্ক্রুটিনি) করা হতে পারে।
আরও পড়ুন:
মেয়র বলেন “ভুয়ো ভোটার কত, মৃত ভোটার কত, সেই সব আলাদা আলাদা করে তালিকা করতে হবে। সেই তালিকা পরীক্ষা (স্ক্রুটিনি) করে আমাদের প্রত্যেকটা বুথে সেই বিধানসভা নম্বর, পার্ট নম্বর, বুথ নম্বর দিয়ে নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে, কাকে পাওয়া গিয়েছে আর, কাকে পাওয়া যায়নি। সেই অনুযায়ী দল যদি দেখে যে নির্দিষ্ট পরিমাণের বেশি ভুয়ো ভোটার আছে, তা হলে তা নির্বাচন কমিশনকে জানানো হবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘তিন-চারটে নাম পেয়েছি, যাঁদের ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে, কিন্তু তাঁরা এখানে থাকেন না। কিছু আছেন, যাঁদের কোনও অস্তিত্ব নেই।’’ বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের বৈঠকের পর রাতেই মেয়র-সহ ভবানীপুর বিধানসভার আট জন কাউন্সিলরকে নিজের কালীঘাটের বাড়িতে ডেকে পাঠান মমতা। সেখানে আগামী এক বছর ভবানীপুর বিধানসভায় যে সব প্রকল্প চলছে, তা দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি ভুয়ো ভোটার ধরার বিষয়েও পদক্ষেপ করতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই শনিবার সকালেই নিজের ওয়ার্ড থেকে সেই কাজ শুরু করে দিলেন ফিরহাদ। তৃণমূল কাউন্সিলরদেরও কলকাতা জুড়ে এই কাজে নামাতে পারেন তিনি।