চর্মনগরীতে আগুন। নিজস্ব চিত্র
বানতলার চর্মনগরীতে অগ্নিকাণ্ড। কালীপুজোর দিন বিধ্বংসী আগুন লাগল চামড়ার কারখানায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকলের ১৫টি ইঞ্জিন। আগুন আয়ত্তে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।
চর্মনগরীর জ়োন ৫-এ আগুন লেগেছে বলে খবর। দুপুর ২টোর পর আগুন লেগেছে বলে দমকলের কাছে ফোন যায়। তার পরেই দমকলের তরফে খেপে খেপে ১৫টি ইঞ্জিন পাঠানো হয়।
চর্মনগরীর এক তলার একটি গুদামে আগুন লেগেছে। সূত্রের খবর, ভিতরে ১০ জন আটকে পড়েছিলেন। তবে তাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে। চর্মনগরীতে অগ্নিকাণ্ডের ফলে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, যেখানে আগুন লেগেছে সেটি একটি চামড়ার ব্যাগ তৈরির কারখানা। তার নীচের তলায় রাসায়নিক পদার্থ থাকে। তবে কী ভাবে এই আগুন লাগল, এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত তা জানা যায়নি। আগুন লাগায় চার দিক ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে। গুদামের মধ্যে থেকে বেরিয়ে আসা ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু।
এক তলার গুদামে আগুন লাগার পর তা ছড়িয়ে পড়ে উপরের তলাগুলিতেও। পর পর ৪টি তলায় আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। গুদামের ভিতর দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। বাইরে থেকে জানলা দিয়ে জল ছিটিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন দমকল কর্মীরা। দমকলমন্ত্রী জানিয়েছেন, ঝিরঝিরে বৃষ্টি এবং ঝোড়ো হাওয়ার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হচ্ছে। যেহেতু এটি একটি চামড়ার কারখানা, তাই সেখানে প্রচুর দাহ্য পদার্থ মজুত করে রাখা ছিল। তাতে আগুন লেগেছে। দমকলের আরও কিছু ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে আগুন পুরোপুরি আয়ত্তে আনতে সময় লাগবে, মেনে নিয়েছেন দমকলমন্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে খবর, আগুন লাগার ফলে যাঁরা গুদামের উপরে আটকে পড়েছিলেন, তাঁদের দড়ির সাহায্যে নামিয়ে আনা হয়েছে। মই এবং বাঁশ দিয়ে দড়ি উপরে পাঠিয়েছিলেন দমকল কর্মীরা। তা বেয়ে সকলে নেমে আসেন। দমকলের সঙ্গে উদ্ধারকাজে হাত লাগান স্থানীয়রাও। তাঁরা জানিয়েছেন, উপরে অন্তত ১৫ থেকে ২০ জন আটকে পড়েছিলেন। সকলকেই নামানো সম্ভব হয়েছে। আগুনের আতঙ্কে এক জন অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বলে খবর। তাঁকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সন্ধে ৬টা নাগাদ দমকল সূত্রে খবর, আগুন আয়ত্তে এসেছে। যদিও স্থানীয়রা দাবি করছেন এখনও আগুন জ্বলছে। কারখানা সংলগ্ন এলাকায় বাজি ফাটানোর কারণে আগুন লেগে থাকতে পারে বলে মনে করছেন কেউ কেউ। তবে দমকলের তরফে আগুন লাগার কারণ নিশ্চিত ভাবে জানানো হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy