প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। —ফাইল চিত্র।
বিধানসভা ভোটে বিপর্যয়ের পরে দ্বিতীয় বার বৈঠক। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর ডাকা সেই বৈঠকে বুধবার গরহাজির থাকলেন রাজ্য স্তরের পরিচিত বহু কংগ্রেস নেতাই। হাতে গোনা কিছু নেতার উপস্থিতিতে বিধান ভবনে প্রদেশ কার্যনিবার্হী কমিটির বৈঠকে তেমন কোনও সিদ্ধান্তও হল না। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির আক্ষেপ, ‘‘বৈঠকে নেতারা না এলে কী আর করা যাবে! সকলেরই হয়তো ব্যক্তিগত কাজ থাকে! যাঁরা আসেননি, তাঁরাই বলতে পারবেন।’’
রাজ্যে কংগ্রেস নেতৃত্বের বড় অংশেরই অভিযোগ, ভোটের পর থেকে দলের আর তেমন কোনও কর্মসূচি নেই। সকলকে নিয়ে আলোচনারও কোনও বালাই নেই। এই পরিস্থিতিতে এ বার প্রদেশ সভাপতি নিজেই সই করে কার্যনির্বাহী সদস্য ও ‘অন্য’দের নিয়ে এ দিনের বৈঠকের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিলেন। কমিটির পূর্ণ বা আমন্ত্রিত সদস্য বাদে ‘অন্য’দের আওতায় প্রায় সব নেতাই পড়েন। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে বিধান ভবনে এ দিন সাংসদ আবু হাসেম (ডালু) খান চৌধুরী, শুভঙ্কর সরকার, আব্দুস সাত্তারের মতো কয়েক জনকে ছাড়া পরিচিত নেতাদের কাউকে দেখা যায়নি। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়, সাইনা জাভেদের মতো তরুণ নেতা-নেত্রীদের কয়েক জন অবশ্য হাজির ছিলেন। অনুপস্থিতদের মধ্যে ছিলেন প্রদীপ ভট্টাচার্য, আব্দুল মান্নান, দীপা দাশমুন্সি, দেবপ্রসাদ রায়, মনোজ চক্রবর্তী, অমিতাভ চক্রবর্তী, সন্তোষ পাঠক-সহ অনেকে। প্রশ্ন উঠেছে, আলোচনা হচ্ছে না বলে যাঁরা অভিযোগ করেন, বৈঠকের সময় এলে তাঁরাই গরহাজির থাকেন কেন! চর্চা শুরু হয়েছে, প্রদেশ কংগ্রেসে ফের জমানা বদলের গন্ধ পেয়েই কি এই গরহাজিরা?
প্রদেশ সভাপতি অধীরবাবু অবশ্য হাল্কা চালেই মন্তব্য করেছেন, ‘‘সব নেতা এলে কংগ্রেস তো কংগ্রেস থাকত না! এই রকমই হয় এখানে! বৈঠক ডেকেছিলাম, যাঁরা পেরেছেন, এসেছেন।’’ প্রদেশ সভাপতি জানিয়েছেন, অনুপস্থিতদের মধ্যে সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য কোভিডে মৃত কারও বাড়িতে যেতে হওয়ায় বৈঠকে থাকতে পারছেন না বলে জানিয়েছিলেন।
এরই মধ্যে বৈঠকের দিনেই তিন পাতার আক্রমণাত্মক চিঠি লিখে প্রয়াত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের পুত্র রোহন মিত্র প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক-সহ দলের সব পদ ছেড়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। বর্তমান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির নেতৃত্বে কাজ করতে আগ্রহী নন বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। দল বা পদ ছাড়া প্রসঙ্গে দলের বৈঠকে এবং পরে প্রকাশ্যেও প্রদেশ সভাপতির মন্তব্য, ‘‘কংগ্রেস আসা সহজ, ছেড়ে যাওয়া আরও সহজ। টিকে থাকা কঠিন!’’ অধীরবাবুর আরও সংযোজন, ‘‘কেউ চলে যেতে চাইলে সেটা তাঁদের সিদ্ধান্ত। প্রাক্তন সাংসদ অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ও দল ছেড়েছেন। সোমেনদা’র হাত ধরে আমার রাজনৈতিক জীবন শুরু। আজীবন তাঁকে শ্রদ্ধা করব। আর তাঁর পুত্রকে স্নেহ করি। চিঠিতে তিনি কী লিখবেন, কী আক্রমণ করবেন, তাঁর ব্যক্তিগত অভিরুচির বিষয়। এই নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy