মুখোমুখি: মন ঘিসিঙ্গ
পাহাড়ের দুই জেলা নিয়ে তৈরি ‘হিল ডেভেলপমেন্ট কমিটি’র চেয়ারপার্সন হয়েই ময়দানে নেমে পড়েছেন জিএনএলএফ প্রধান তথা সুবাস ঘিসিঙ্গের ছেলে মন। গত বুধবার সকালে আচমকা বাবার মতোই জাকির হোসেন রোডের বাড়ি থেকে হেঁটে তিনি দার্জিলিং শহরে ঘুরেছেন। চকবাজার, জজবাজার-সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমস্যার কথা শোনেন। পরে, বাজার এলাকায় চায়ের দোকানে বসে ছোট ব্যবসায়ীদের সমস্যার কথা নথিবদ্ধও করেন। তাঁর সঙ্গে দলের নেতা-কর্মীরা থাকলেও পতাকা, ফেস্টুন ছিল না। কেউ স্লোগানও দেননি।
নেতারা জানান, দলের দায়িত্ব নেওয়ার পরে মন পাহাড়ি গ্রামে গ্রামে গিয়েছিলেন। এ বার সরকারি ভাবে উন্নয়ন কমিটির মাথায় বসেছেন। মানুষের সমস্যা, মনোভাব বুঝতেই তিনি ঘুরছেন। কালিম্পঙেও শীঘ্রই যাবেন। গত ২১ নভেম্বর পিনটেল ভিলেজের সর্বদল বৈঠকের পরেই মনকে মাথায় বসিয়ে উন্নয়ন কমিটির ঘোষণা করেছে রাজ্য।
দলের সাধারণ সম্পাদক মহেন্দ্র ছেত্রী বলেন, ‘‘মানুষের জন্য কাজ করতেই সভাপতি উন্নয়ন কমিটিতে যেতে রাজি হয়েছেন। মানুষের অভাব-অভিযোগ, সমস্যা বুঝতেই তিনি ঘোরা শুরু করলেন।’’
পাহাড়ে সম্প্রতি বিমল গুরুঙ্গের হাত থেকে মোর্চার কর্তৃত্ব গিয়েছে বিনয় তামাঙ্গ-অনীত থাপাদের হাতে। বিনয় এখন জিটিএ প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারম্যানও। তার পরেও সাধারণ বাসিন্দারা এবং মোর্চার একটি অংশ বিনয়ের পাশে আসেনি। কিন্তু তাঁরা গুরুঙ্গের সঙ্গেও আর থাকতে চান না। তাঁদের পাশে পেতেই জিএনএলএফ ময়দানে নেমেছে। রোজ দু’জেলার বিভিন্ন এলাকায় সাংগাঠনিক বৈঠক চলছে। তেমনিই, উন্নয়ন কমিটির মাধ্যমে মানুষকে সঙ্গে নিয়ে কাজের পরিকল্পনা হয়েছে।
যদিও রাজ্য এখনও কমিটির কাজের পরিধি, তহবিলের ঘোষণা করেননি। তা যা দ্রুত ঘোষণা করা হয়, সেই দাবি নিয়ে শীঘ্রই কলকাতায় গিয়ে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন, জানালেন মহেন্দ্র।
গত এক বছরে জিএনএলএফের সংগঠন আগের তুলনায় অনেকটাই মজুবত হয়েছে, মানছেন আলোচনাপন্থী মোর্চা নেতারাও। তাঁরা বলেছেন, ‘‘পাহাড়ের মোর্চার অন্যতম প্রধান বিরোধী দল এখন জিএনএলএফ। আমাদের পাশে যাঁরা আসছেন না, তাঁরা জিএনএলএফে যাচ্ছেন। তবে ওঁরাও শান্তি, উন্নয়নের পক্ষে। তাই কোনও অসুবিধা নেই।’’ প্রকাশ্যে অবশ্য বিনয় তামাঙ্গ, অনীত থাপারা বলেছেন, ‘‘নতুন উন্নয়ন কমিটি রাজ্য ও জিএনএএলফের বিষয়। এ নিয়ে কিছু বলছি না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy