গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর জখম পূর্ণবয়স্ক একটি চিতাবাঘ। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে দার্জিলিঙের বাগডোগরা জাতীয় সড়কে কাছে চাঁদমোড় আলার চা-বাগান এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রের খবর, চা-বাগান থেকে বেরিয়ে রাস্তা পার হচ্ছিল একটি চিতাবাঘ। ঠিক ওই সময় দ্রুত গতিতে একটি চারচাকার গাড়ি যাচ্ছিল। গাড়ির ধাক্কায় ছিটকে রাস্তার এক পাশে পড়ে চিতাবাঘটি। জখম অবস্থায় রাস্তার ধারে পড়ে থাকে সেটি, পরে পথচলতি কিছু মানুষ আহত চিতাবাঘটিকে দেখে ঘোষপুকুরে বন দফতরের অফিসে খবর দেয়। এর পর বন দফতরের কর্মীরা গিয়ে চিতাবাঘটিকে উদ্ধার করতে যায়। বেঙ্গল সাফারি পার্কে নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় চলছিল। কিন্তু বনকর্মীরা যেতেই চা-বাগানে ঢুকে পড়ে চিতাবাঘটি। রাত হয়ে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার আর তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। খবর পেয়ে বাগডোগরা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। শুক্রবার পুলিশ এবং বনকর্মীদের যৌথ উদ্যোগে চিতাবাঘটি ধরা পড়েছে।
জানা গিয়েছে, বন দফতরের ‘এলিফ্যান্ট স্কোয়াড’-এর কর্মীদের পাতা জালে ধরা পড়ে আহত চিতাবাঘটি। চা-বাগানের পাশে একটি নালার ধারে আহত পশুটিকে দেখতে পান বনকর্মীরা। তাকে উদ্ধার করে বেঙ্গল সাফারি পার্কে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জানা যাচ্ছে, চিতাবাঘটির শারীরিক পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক।
আরও পড়ুন:
‘এলিফ্যান্ট স্কোয়াড’-এর আধিকারিক মানসকান্তি ঘোষ বলেন, ‘‘গুরুতর আহত হয়েছে চিতাবাঘটি। চিকিৎসার জন্য তাকে বেঙ্গল সাফারি পার্কে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘প্রতিনিয়ত এই চা-বাগান এলাকাগুলি দিয়ে চিতাবাঘ পারাপার করতে থাকে। এর আগেও বেশ কয়েকটি চিতাবাঘ রাস্তা পারাপার করার সময় দুর্ঘটনার মুখে পড়েছে। গাড়ির ধাক্কায় চিতাবাঘের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। সাধারণ মানুষ এবং গাড়িচালকদের উদ্দেশে সচেতনতামূলক প্রচার করা হলেও একই ঘটনা বার বার ঘটছে। আগামিদিনে যাতে এ রকম ঘটনা না-ঘটে সে দিকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।’’