মমতার পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল। —ফাইল চিত্র।
সংশোধিত নাগরিক আইনের (সিএএ) সংশোধিত নাগরিক আইনের (সিএএ)বিরুদ্ধে সোমবার পথে নামছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা নিয়েও এ বার ক্ষোভ উগরে দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। মুখ্যমন্ত্রীর পদক্ষেপকে অসাংবিধানিক বলে উল্লেখ করলেন তিনি। মিটিং-মিছিল না করে রাজ্যের পরিস্থিতি কীভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা যায়, এই মুহূর্তে তাতেই মুখ্যমন্ত্রীর মনসংযোগ করা উচিত বলে পরামর্শও দিলেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে এ দিন টুইটারে রাজ্যপাল লেখেন, ‘‘সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এবং দেশের আইন-কানুনের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যের মন্ত্রীদের সমাবেশে উদ্বিগ্ন আমি। এটা একেবারে অসাংবিধানিক। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমার আর্জি, এই মুহূর্তে রাজ্যের যা পরিস্থিতি, তাতে এমন অসাংবিধানিক এবং উস্কানিমূলক পদক্ষেপ করবেন না। তার চেয়ে এই পরিস্থিতি থেকে কীভাবে বেরিয়ে আসা যায়, সে দিকে মন দিন।’’
.@MamataOfficial. I am extremely anguished that CM and Ministers are to spearhead rally against CAA, law of the land. This is unconstitutional. I call upon CM to desist from this unconstitutional and inflammatory act at this juncture and devote to retrieve the grim situation.
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) December 16, 2019
রাজ্যপালের টুইট।
নয়া নাগরিকত্ব আইন এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জির (এনআরসি) বিরোধিতায় দলের নেতা-মন্ত্রীদের নিয়ে তিন দিন ব্যাপী মিছিলের ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন তাঁর নেতৃত্বেই ময়দানে অম্বেডকর মূর্তি থেকে জোড়াসাঁকো পর্যন্ত মিছিল যাবে। যাদবপুর ৮বি বাসস্ট্যান্ড থেকে যদুবাবুর বাজার পর্যন্ত মিছিল হবে মঙ্গলবার। বুধবার মিছিল হবে হাওড়া ময়দান থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত।
তা নিয়েই আপত্তি তুলেছেন রাজ্যপাল। রাজ্যর মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ায়, দেশের সংবিধানের প্রতি মমতার আস্থা থাকা উচিত বলে এর আগেও, রাজ্য সরকারকে একহাত নিয়েছিলেন তিনি। এমনকি এ রাজ্যে সংশোধিত নাগরকিত্ব বিল এবং নাগরিক পঞ্জি কার্যকর হতে দেবেন না বলে মমতার মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। অবিলম্বে এই সংক্রান্ত যাবতীয় বিজ্ঞাপন সরিয়ে ফেলা উচিত বলে জানান। রবিবার টুইটারে তিনি লেখেন, ‘‘সিএবি, এনআরসি হতে দেবেন না বলে যে বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন, মমতা, আগেই তা তুলে নিতে বলেছিলাম ওঁকে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হল, এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া তো দূর, এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি। কীভাবে রাজ্য সরকারজনগণের টাকায় এ ভাবে দেশের আইন-কানুনকে চ্যালেঞ্জ জানায়! এটা একেবারে অসাংবিধানিক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy