—ফাইল চিত্র।
আগুনের গতিতে করোনা সংক্রমণ ছড়ানো সত্ত্বেও সর্বভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারিং প্রবেশিকা পরীক্ষা (জেইই-মেন) এবং ডাক্তারি প্রবেশিকা (নিট-ইউজি) না-পিছোনো নিয়ে দেশ জুড়ে বিক্ষোভ জারি রয়েছে। পরীক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা এবং ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে আপাতত ওই দু’টি পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অনুরোধ, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না-হওয়া পর্যন্ত যেন পড়ুয়াদের পরীক্ষায় বসতে বাধ্য না-করা হয়।
জেইই-মেন এবং নিট-ইউজি পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে গত কয়েক দিন নাগাড়ে টুইট করে চলেছেন বিজেপির রাজ্যসভা সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামীও। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিও দিয়েছেন তিনি। সোমবার আরও এক ধাপ এগিয়ে তাঁর টুইট, “যদি আমাদের মোদী সরকার এখন জোর করে জেইই, নিট পরীক্ষা চাপিয়ে দেয়, তা হবে ১৯৭৬ সালে নসবন্দির (জোর করে জন্মনিয়ন্ত্রণ) মতো বিরাট ভুল। যা ইন্দিরা (গাঁধী) সরকারের পতন ডেকে এনেছিল। ভারতের ভোটাররা অনেক কিছু চুপচাপ সহ্য করেন। কিন্তু সব তাঁদের মনে থাকে দীর্ঘদিন।”
এর আগেও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের চূড়ান্ত সিমেস্টার ও চূড়ান্ত বর্ষের পড়ুয়াদের উপরে পরীক্ষা চাপিয়ে না-দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন মমতা। সোমবার মোদীকে পাঠানো চিঠিতে সে কথা মনে করিয়ে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, অতিমারির সময়ে পরীক্ষা বহু ছাত্র-ছাত্রীকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিতে পারে। যে কারণে আগের চিঠিতে আমলাতান্ত্রিক একতরফা সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়ার বিরোধিতা করেছিলেন তিনি। কিন্তু তার পরেও সেপ্টেম্বরে জেইই এবং নিট পরীক্ষা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে যা একই রকম ঝুঁকিপূর্ণ। বিশেষত যখন কোভিডের প্রকোপের পাশাপাশি বহু পড়ুয়া মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত। কেউ যদি ঝুঁকি নিয়ে পরীক্ষার বসতে বাধ্য হন বা পরিস্থিতির শিকার হয়ে পরীক্ষায় বসতেই না-পারেন, তবে তাতে তাঁর ভবিষ্যতের ক্ষতি।
আরও পড়ুন: উত্তর ২৪ পরগনায় কোভিডের সংক্রমণ কেন নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না? প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর
আরও পড়ুন: তৃণমূল থেকে রত্না অপসারিত? ধন্দ জিইয়ে থাকায় ধোঁয়াশা কাননেও
এর মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ভিন্ দেশে থাকা যে সমস্ত পড়ুয়া নিট-এ বসবেন, ‘বন্দে ভারত’ উড়ানে তাঁদের ফেরানোর বন্দোবস্ত করুক কেন্দ্র। নিট যে হেতু অনলাইনে হয় না, তাই বিদেশে পরীক্ষাকেন্দ্র খোলার দাবি উঠেছিল। সেই আর্জির নিরিখেই এ কথা জানিয়ে সর্বোচ্চ আদালতের পরামর্শ, পরের বছর থেকে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার কথা ভাবা হোক।
এ দিকে, রবিবার ময়ূরকে দানা খাওয়ানোর ছবি পোস্ট করার পরে আক্রমণের মুখে মোদীও। ক্ষুব্ধ ছাত্র সংগঠনগুলির বক্তব্য, “ময়ূরকে খাওয়ানোর সময় আছে। আর আমাদের কথা শুনতে দু’মিনিট নেই!”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy