Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪

চায়ের চর্চায় উত্তর প্রসঙ্গ 

এর পরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আপনারা চা শ্রমিকদের টাকাগুলি ঠিকমতো মিটিয়ে দিন। বাগানে পর্যটন প্রসারের কাজ করুন। এখানে বোনাস নিয়ে সমস্যা হচ্ছে, তখন আমি কলকাতার লোককে ডাকব না, ডুয়ার্সের লোককে ডাকব।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

কৌশিক চৌধুরী
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০১৯ ০৩:১৬
Share: Save:

শ্রমিকদের টাকা ঠিকমতো দেওয়া, নেপাল থেকে আসা চা পাতাকে দার্জিলিং পাতা বলে বিক্রি বন্ধ করা— সব বিষয়েই এ দিন বাগান মালিকদের ব্যবস্থা নিতে বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার উত্তরকন্যার বৈঠকে তিন জেলার বিভিন্ন বণিকসভা এবং চা বাগানের মালিকদেরও ডাকা হয়। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী চা মালিকদের সংগঠনগুলির সভাপতি বা চেয়ারম্যান স্থানীয় কর্তারা কোথায়, তা জানতে চান। শুধুমাত্র তরাইয়ের একটি সংগঠন ছিল। শুনে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, শিলিগুড়ি, দার্জিলিঙে বৈঠক হলে তাঁরা কলকাতা থেকে কেন আসবেন না?

এর পরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আপনারা চা শ্রমিকদের টাকাগুলি ঠিকমতো মিটিয়ে দিন। বাগানে পর্যটন প্রসারের কাজ করুন। এখানে বোনাস নিয়ে সমস্যা হচ্ছে, তখন আমি কলকাতার লোককে ডাকব না, ডুয়ার্সের লোককে ডাকব। কলকাতায় থাক না আলাদা ব্যবস্থা। উত্তরবঙ্গের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করতে হবে।’’ এর পরেই মুখ্যমন্ত্রী অমিত মিত্র, মলয় ঘটক এবং মুখ্যসচিবকে বলেন, চা বাগানের মালিক সংগঠনগুলির সঙ্গে কথা বলে উত্তরবঙ্গের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করতে।

পাহাড়ে ২০ শতাংশ বোনাসের দাবি নিয়ে বিনয় তামাং আমরণ অনশন শুরু করেন। তা নিয়েও আলোচনা করে নিষ্পত্তি কলকাতায় হয়েছে। সরকারি সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন চা সংক্রান্ত অধিকাংশ বৈঠক, আলোচনা উত্তরবঙ্গেই হোক। কলকাতায় যাতায়াতের বদলে স্থানীয় স্তরে এসে মালিকপক্ষ তো বটেই প্রশাসনিক কর্তারাই কাজ করুক।

এদিন সুশীল বেরেলিয়া, মহেন্দ্র বনশল, জীবন পাণ্ডে, এসকে সারিয়া, নরেন্দ্র ডালমালিয়ার মতো চা মালিকেরা এবং চা গোষ্ঠীর প্রতিনি‌ধিরা বৈঠকে আসেন। তবে অনেকে আসেনওনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘অনেকেই তো আসেননি। নেপালের চা দার্জিলিং বলে চালিয়ে দিচ্ছেন, তা হলে আপনারা কী করছেন। দার্জিলিং চা বিশ্ববিখ্যাত, এর জিআই রয়েছে। এটা ঘোরতর ফৌজদারি অপরাধ।’’

এর পরে ওঠে বাগানের অব্যবহৃত জমিতে পর্যটন এবং হর্টিকালচারের প্রসঙ্গ। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, বর্তমানে চা বাগানের অব্যবহৃত জমির ৫ একরে পর্যটন বা অন্য চাষ করা যায়। কিন্তু সমতলে নির্মাণ কাজ করা যায় ১.৫ একরের আর পাহাড়ে ১ একরের মতো জমিতে। যা মালিকেরা বাড়াতে চান। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘আমরা অনুমোদন করব। মন্ত্রিগোষ্ঠীর কাছে একটি বিল রয়েছে। দ্রুত তা হয়ে যাবে।’’ পরে পর্যটন মন্ত্রী বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো কাজ হচ্ছে। চা পর্যটনকে বাড়াতেই হবে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Mamata Banerjee Tea Garden
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy