মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কেন্দ্রের বাজেট অধিবেশনের আগে দলের সাংসদদের নিয়ে আগামী বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, ২৭ জানুয়ারি কালীঘাটের বাসভবন থেকেই তিনি দলের লোকসভা এবং রাজ্যসভার সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তবে কোভিড পরিস্থিতিতে কালীঘাটে মমতার বাসভবনে তৃণমূল সাংসদরা সশরীরে উপস্থিত থাকবেন না। দলনেত্রী তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করবেন ভার্চুয়াল মাধ্যমে।
সংসদে বাজেট অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা আগামী ৩১ জানুয়ারি। যা চলবে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ১ ফেব্রুয়ারি সংসদে বাজেট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। ন’দিনের এই অধিবেশনে দিল্লিতে এবং সংসদ ভবনে তৃণমূলে সাংসদদের ভূমিকা কী হতে চলেছে, মূলত তা নিয়েই তৃণমূলনেত্রী ওই ভার্চুয়াল বৈঠকে আলোচনা করবেন বলে ধারণা। পাশাপাশি মমতা দলের সাংসদদের প্রয়োজনীয় নির্দেশও দেবেন বলে অনুমান।
কেন্দ্রের সঙ্গে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি ইস্যুতে বিরোধিতা চলছে রাজ্যের। এর মধ্যে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোসের ১২৫তম জন্মবার্ষিকীতে নেতাজিকে নিয়ে তৈরি পশ্চিমবঙ্গের ট্যাবলো বাতিল হয়ে যাওয়ার মতো বিষয় রয়েছে। যা নিয়ে সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনও। এ ছাড়া আইপিএস, আইএএসদের নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতও ক্রমশ বাড়ছে। রাজ্যে নিযুক্ত আইপিএস এবং আইএএস অফিসারদের উপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কেন্দ্র এবং রাজ্যের বেশ কয়েক দফা চিঠি বিনিময়ও হয়েছে।
এ ছাড়া এই সাংসদ অধিবেশনে আরও একটি বিষয় গুরুত্ব পাবে। বিরোধী হিসেবে কংগ্রেসের আর তৃণমূল সংসদে কী অবস্থান নিতে চলেছে সে দিকে নজর থাকবে নজর থাকবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। বিশেষত পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের পর যে ভাবে ত্রিপুরা, গোয়া মেঘালায়ে কংগ্রেস ভেঙে সংগঠন বাড়িয়েছে তৃণমূল। তাতে সংসদে দু’দলের সাংসদরা কী ভাবে মুখোমুখি হবেন সে দিকে গোটা দেশের রাজনৈতিক মহলের নজর থাকবে।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে বিভিন্ন সময়ে কংগ্রেস এবং তৃণমূল নেতারা একে অপরের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক মন্তব্য করেছেন। এমনকি বৃহস্পতিবার গোয়ায় কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরমের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাই রাজনৈতিক মহলের ধারণা এ বারের সংসদ অধিবেশনে কংগ্রেস ও তৃণমূল পরস্পরের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে মোদী সরকারের বাজেটের বিরোধিতা করবে।
তৃণমূলের এক সাংসদ জানিয়েছেন, ‘‘প্রতিবারই সংসদের অধিবেশনের আগে মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক করে নির্দেশ দেন। আশা করি এবারও তেমন নির্দেশ পাব। দলনেত্রীর নির্দেশ মেনেই সংসদের কী করণীয় সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy