নরেন্দ্র মোদী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র
সাম্প্রতিক অতীতে বিভিন্ন ইস্যুতেই দুই মেরুতে অবস্থান করছেন দু’জন। কিন্তু রাজনৈতিক বিরোধিতা সরিয়ে উন্নয়নের প্রশ্নে এ বার মুখোমুখি বৈঠকে বসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠক বুধবার বিকেল সাড়ে চারটেয়। রাজ্যের উন্নয়ন ও প্রশাসনিক নানা বিষয়ে দুজনের কথা হবে বলে জানা যাচ্ছে। আগামিকাল মঙ্গলবারই দিল্লি চলে যাচ্ছেন মমতা।
মোদীর সঙ্গে বৈঠকের পর আরও এক দিন দিল্লিতে থাকবেন তৃণমূল নেত্রী। বিরোধী একাধিক দলের নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে মমতার সাক্ষাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছু দিন আগেই বৈঠকের জন্য সময় চাওয়া হয়েছিল। আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়েছে, বুধবার বিকেল সাড়ে চারটেয় সময় বরাদ্দ করা হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য। নবান্নের একটি সূত্রে খবর, বিভিন্ন প্রশাসনিক বিষয় নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চান। এ ছাড়া রাজ্যের বিভিন্ন দাবিদাওয়া প্রধানমন্ত্রীর কাছে মুখ্যমন্ত্রী পেশ করতে পারেন বলেও খবর। বছর দেড়েক পর মুখোমুখি হবেন দুই নেতানেত্রী।
লোকসভা ভোটের আগে মোদী বিরোধিতায় কার্যত প্রধান মুখ হয়ে উঠেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফেডারেল ফ্রন্ট গঠনের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমকায় দেখা গিয়েছিল তৃণমূল সুপ্রিমোকে। সেই সূত্রে বিজেপি-তৃণমূল বিরোধ চরমে উঠেছিল। ভোটের পরেও ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের সময় তৃণমূল সাংসদরা সংসদে তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন। তার পরে মমতা নিজেও এই ইস্যুতে কেন্দ্র তথা মোদী সরকারকে একাধিক বার তোপ দেগেছেন। অসমে এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর শুধু রাজনৈতিক বিরোধিতা নয়, রীতিমতো পথে নেমে প্রতিবাদ করেছেন। বৃহস্পতিবারই কলকাতায় মিছিল করে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, এক জনের গায়েও হাত দিতে দেবেন না তিনি। সব মিলিয়ে কেন্দ্রের বিরোধী শক্তির মধ্যে অন্যতম হয়ে উঠেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তার মধ্যেও রাজনৈতিক ভাবে প্রায় বিপরীত মেরুর দুই শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠকের দিকে তাই নজর থাকবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।
আরও পড়ুন: রাজীবকে আজও হাজিরা দেওয়াতে পারল না সিবিআই, ফের চিঠি গেল নবান্নে
আরও পড়ুন: প্রয়োজনে আমি নিজে যাব, জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে মামলায় পরিস্থিতি নিয়ে বললেন প্রধান বিচারপতি
মোদী-মমতা দু’জনেই অবশ্য একাধিক বার এ কথা বলেছেন, রাজনীতি আর উন্নয়নকে গুলিয়ে ফেলা ঠিক নয়। বরং কেন্দ্র-রাজ্য সমন্বয় রেখে চলাই যুক্তিযুক্ত। লোকসভা ভোটের প্রচারে এসে নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, প্রতি বছর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে পছন্দ করে তাঁর জন্য কুর্তা পাঠান। সঙ্গে থাকে মিষ্টি। মমতাও সুর মিলিয়ে বলেছিলেন, যতই রাজনৈতিক বিরোধিতা থাক, তিনি উপহার পাঠাতে ভোলেন না। আগামিকাল প্রধানমন্ত্রী মোদীর জন্মদিন। তার পরের দিনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক। প্রত্যাশিত ভাবেই বৈঠকে মোদীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাবেন মমতা। থাকতে পারে উপহারও।
বিশ্বভারতীর সমাবর্তনে শেষ বার এক মঞ্চে দেখা গিয়েছিল দু’জনকে। প্রায় এক বছর তিন মাস পর ফের একসঙ্গে বৈঠকে বসছেন মোদী-মমতা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy