সিপিএমের মালদহ জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র। —ফাইল চিত্র।
গোষ্ঠীকোন্দলে মালদহে পর পর তৃণমূলের দুই নেতাকে খুনের ঘটনা ঘটেছে সম্প্রতি। ক্ষমতায় না থাকলেও সেই মালদহে দ্বন্দ্বের ছায়া পড়ল সিপিএমে।
সিপিএম নিয়ম করেছে এক জন ব্যক্তি, একটি স্তরে তিনটি মেয়াদের বেশি সম্পাদক থাকতে পারবে না। কিন্তু মালদহে সেই নির্দেশিকা লঙ্ঘিত হল। মালদহ জেলা সম্মেলন থেকে চতুর্থ বারের জন্য সম্পাদক হলেন অম্বর মিত্র। কেন এই ‘বিশেষ পরিস্থিতি’ তৈরি হল? আনুষ্ঠানিক ভাবে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, “গাইডলাইন আছে ঠিক কথা। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে উচ্চতর কমিটির অনুমতিতে তিন বারের বেশি কেউ কোনও কমিটিতে সম্পাদক হতে পারেন। এই জেলার ক্ষেত্রে আমাদের কিছু সাংগঠনিক কাজ বাকি রয়েছে। সেগুলি সম্পন্ন করার দিকে আমরা এগোব।” উল্লেখ্য সেলিম উপস্থিত ছিলেন জেলা সম্মেলনে। শুক্রবার রাতে শেষ হয়েছে সম্মেলন।
সিপিএম সূত্রে খবর, অম্বর জেলা সম্পাদক পদ ছেড়ে এক তরুণ নেতাকে দায়িত্ব দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি যেহেতু রাজ্য কমিটির সদস্য নন, তাই একাংশ থেকে আপত্তি ওঠে। রাজ্য কমিটিতে রয়েছেন এমন এক নেতাকে জেলা সম্পাদক করার স্বর তোলে একটা অংশ। সূত্রের খবর, অম্বর তাঁকে দায়িত্ব দিতে চাননি। অগত্যা তৃতীয় পন্থা হিসেবে অম্বরকে ফের দায়িত্ব দেয় সিপিএম।
মালদহে এই পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পরে দলে আলোচনা শুরু হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরে কে জেলা সম্পাদক হবেন, তা নিয়ে। উল্লেখ্য, পূর্ব মেদিনীপুরে জেলা সম্পাদক পদে নিরঞ্জন সিহিরও তিন মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে। নন্দীগ্রামের জেলাতেও সিপিএমের পরবর্তী সম্পাদক হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন দুই তরুণ নেতা। তাঁদের একজন রাজ্য কমিটির সদস্য, অন্য জন নন। যিনি রাজ্য কমিটিতে আছেন, তিনি সংখ্যালঘু অংশের এবং প্রাক্তন বিধায়ক। সেখানেও কি মালদহ মডেল কার্যকর হবে? প্রশ্ন আলিমুদ্দিনেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy