মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: পিটিআই।
কেন্দ্রীয় ‘বঞ্চনা’কে সামনে রেখে লোকসভা ভোটের প্রস্তুতিতে এ মাসেই মাঠে নামছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ১৬ নভেম্বর দলের সর্ব স্তরের নেতা-কর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের সভায় সেই দ্বিতীয় দফার সেই কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারেন তিনি।
দুর্নীতি, গ্রেফতার ও বঞ্চনা নিয়ে চাপানউতোরের মধ্যেই লোকসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে কোমর বাঁধছে তৃণমূল কংগ্রেস। ভাইফোঁটার পর দিন সেই লক্ষ্যে দলের নেতা-কর্মীদের বার্তা দিতে পারেন তৃণমূল নেত্রী। দলীয় সূত্রে খবর, ওই দিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের একটি সভা ডাকা হচ্ছে। ‘বিজয়া সম্মিলনী’র মোড়কে ওই সভা থেকেই এই পর্বের আন্দোলনের দিগ্নির্দেশ করতে পারেন মমতা।
প্রসঙ্গত, ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা আদায়ের দাবিতে অক্টোবরের গোড়ায় দিল্লির কর্মসূচিতে থাকার কথা ছিল মমতার। কিন্তু পায়ের ব্যথার কারণে দিল্লি ও পরে কলকাতায় রাজভবনের সামনে তৃণমূল যে ধর্না কর্মসূচি নিয়েছিল, তাতে থাকতে পারেননি তিনি। তবে ওই জোড়া কর্মসূচি শেষে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, নভেম্বরে কর্মসূচির দ্বিতীয় দফায় মমতা থাকবেন। এই পর্বে দিল্লিতেও তৃণমূলের প্রস্তাবিত একটি বড় কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন অভিষেক। দলের এক নেতার কথায়, ‘‘পায়ে গুরুতর সমস্যা ছিল। কিন্তু বেশ কয়েক দিন বিশ্রাম ও চিকিৎসার পরে ব্যথা এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। আশা করা যায়, আগামী ১৫ দিনে আরও উন্নতি হবে। তার পরেই ওই সভার কর্মসূচির কথা ভাবা হয়েছে।’’ দীর্ঘ বিশ্রামের পরে মঙ্গলবারই নবান্নে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। দলের একাংশের ধারণা, দুর্নীতির অভিযোগে যে চাপ তৈরি হয়েছিল, মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেফতারের পরে তা আরও বেড়েছে। এই অবস্থায় এখনই রাজ্যব্যাপী দলকে নির্বাচনী প্রস্তুতিতে নামিয়ে দিতে চাইছেন মমতা। তার আগেই অবশ্য নীচের তলায় ‘বিজয়া সম্মিলনী’র আয়োজন করতে জেলাগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে তৃণমূল। নভেম্বরে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে প্রচারে নেমে পড়তেও বলা হয়েছে। সেই কর্মসূচির পরবর্তী ধাপ নির্দিষ্ট করে দেবেন মমতা।
জ্যোতিপ্রিয়ের গ্রেফতারকে ঘিরে চাপানউতোরও অব্যাহত। ‘মিথ্যা বলে মানহানি’র অভিযোগে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে এ দিনই আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। নোটিসে বলা হয়েছে, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কাকলি আইনি পদক্ষেপ করবেন। রেশন-মামলায় বাকিবুর রহমানের গ্রেফতারের পরে বারাসাতের সাংসদ কাকলির নাম উল্লেখ করে একটি অভিযোগ করেছিলেন বিরোধী দলনেতা। তার জেরেই কাকলি বলেছেন, ‘‘আমাদের নামে যে ভাবে সংবাদমাধ্যমের সামনে কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন, তার জন্যই শুভেন্দু অধিকারীকে মানহানির আইনি নোটিস পাঠালাম।’’ তাঁর আরও দাবি, ‘‘আমার এবং আমার পরিবারের সবাই খেটে খাওয়া মানুষ, আমরা অনৈতিক ভাবে কোনও উপার্জন করি না। অন্যায়ের সঙ্গে আপস করি না।’’
রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য অবশ্য বলেছেন, ‘‘বিরোধী দলনেতা সাংসদ কাকলির এক জন সহকারীর নাম বলেছেন। তিনি যখন বলেছেন, দায়িত্ব নিয়েই বলেছেন।’’ বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষেরও মন্তব্য, ‘‘বিরোধী দলনেতা যখন বলেছেন, তখন নিশ্চয়ই ওঁর কাছে তথ্য আছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy